সম্প্রতি মারা গিয়েছে ‘নর্দার্ন হোয়াইট রাইনো’ প্রজাতির একমাত্র পুরুষ গন্ডার সুদান। তার মৃত্যুর পরে ওই প্রজাতির দু’টি মহিলা গন্ডারই শুধু অবশিষ্ট রইল। সুদানের মৃত্যুর পরে প্রাকৃতিক উপায়ে এই প্রজাতির গন্ডারের প্রজননের রাস্তা বন্ধ হয়ে গেল। তবে কেনিয়ার ওল পেজেতা বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, সুদানের ডিএনএ সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে। পরবর্তী কালে অ্যাডভান্সড সেলুলার প্রযুক্তি এবং ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (আইভিএফ)-এর মাধ্যমে তা কাজে লাগিয়ে কৃত্রিম প্রজননের চেষ্টা হবে। যা কিঞ্চিৎ আশার আলো দেখাচ্ছে। কিন্তু শুধু সুদান নয়, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইএনইউসি)-র তথ্য অনুসারে ৫ হাজার ৫৮৩ ফ্লোরা এবং ফনা বিপজ্জনক সংখ্যায় রয়েছে। অর্থাৎ এদের অস্তিত্ব বিলুপ্তির পথে। দেখে নিন তারা কারা
রেড পান্ডা: পূর্ব হিমালয় এবং দক্ষিণ-পশ্চিম চিন— এই সীমানাতেই সীমাবদ্ধ এদের অস্তিত্ব। জেনাস এলুরাসের একমাত্র জীবিত প্রজাতি রেড পান্ডা।
এশীয় হাতি: আইইউসিএন-র রেড লিস্টে রয়েছে এই প্রাণীটি। দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার বিস্তীর্ন জঙ্গল জুড়ে এদের বাস। তবে উপযুক্ত বাসস্থান ধ্বংসের জন্য এদের সংখ্যাও ভীষণ ভাবে কমছে।
ওয়াইল্ড অ্যাস: গুজরাতের ওয়াইল্ড অ্যাস অভয়ারণ্যতেই একমাত্র দেখা মেলে এদের।
ভারতীয় বাইসন: কর্নাটকের বান্দিপুর এবং নাগারহোল ন্যাশনাল পার্ক, অসমের কাজিরাঙা এবং মানস ন্যাশনাল পার্কে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে এই প্রজাতির।
সাংহাই হরিণ: মণিপুরের জাতীয় প্রাণী। প্রায় বিলুপ্তির পথে এই প্রাণীটি অর্থাৎ সংখ্যায় অত্যন্ত কম। মণিপুরের লোকটাক হ্রদের দক্ষিণে কেইবুল লামজাও ন্যাশনাল পার্কে এদের দেখা মেলে।