অতিমারির আগের জীবনে ফিরছে চিন। শুক্রবার বেজিংয়ে সন্তানদের নিয়ে একটি শপিং মল থেকে বেরোচ্ছেন মা। ছবি: পিটিআই।
কোভিড নিয়ে ফের কোণঠাসা চিন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস আজও জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতি বুঝতে অবিলম্বে চিনের থেকে তথ্য পাওয়া জরুরী। ওমিক্রনের উপপ্রজাতি বিএফ.৭ সংক্রমণে রোগের মধ্যে কী বৈচিত্র এসেছে, উপসর্গ কেমন, কত জনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হচ্ছে, এ ধরনের তথ্য বিশদে পাওয়া দরকার। কিন্তু শত চাপের মুখে নতি স্বীকার করতে রাজি নয় বেজিং। তথ্য প্রকাশ করা তো দূরের কথা, সম্প্রতি দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর হিসেব দেওয়াও বন্ধ করে দিয়েছে চিন সরকার।
ভারতের কোভিড প্যানেলের প্রধান এন কে অরোরা সম্প্রতি জানিয়েছেন, চিনের জন্য গোটা বিশ্বে বিপদঘণ্টি বেজে গিয়েছে। কিন্তু ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ভারতীয় বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশের মতে, চিনাদের এত দিন ঘরবন্দি রাখা হয়েছিল বলে তাঁদের প্রাকৃতিক ভাবে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়নি। সেই সঙ্গে টিকাকরণও যথাযথ হয়নি চিনে। কিন্তু ভারতের মানুষের ‘হাইব্রিড ইমিউনিটি’ বা মিশ্র রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় সংক্রমণ ঢেউয়ে আক্রান্ত হয়ে ও তার পরে টিকাকরণের জোরে এই হাইব্রিড ইমিউনিটি তৈরি হয়েছে মানুষের শরীরে। ভারতে ৯৭ শতাংশ মানুষের কোভিড টিকার দু’টি ডোজ় নেওয়া হয়ে গিয়েছে। অরোরার বক্তব্য, চিন তথ্য গোপন করছে বলে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়াহচ্ছে ভারতেও।
একই কারণে আমেরিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান-সহ বহু দেশ কড়াকড়ি শুরু করেছে চিন-ফেরত যাত্রীদের বিষয়ে। হু-প্রধান বলেন, ‘‘নিষেধাজ্ঞা জারি করাই স্বাভাবিক। চিন থেকে পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। বিশ্বের একাধিক দেশ যে পদক্ষেপ করছে, তা নিজেদের জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষিত রাখতেই করছে। খুবই স্বাভাবিক বিষয়।’’