এ ভাবেই গাড়ির উপর ঝাপিয়ে পড়েছিল রাকুনটি। ছবি: কলোরাডো স্প্রিংস পুলিশের ফেসবুক পেজের সৌজন্যে।
সন্ধ্যের রাস্তায় চলছিল টহলদারি। তখনই বিরাট এক লম্ফ। কিছু বুঝে ওঠার আগেই গাড়ির সামনের কাচে চার পেয়ে একটি জীব। দেখে যারপরনাই হতবাক কলোরাডো স্প্রিংস পুলিশের অফিসার ক্রিস্টোফার ফ্র্যাবিয়েল। পটাপট ছবি তুললেন, পোস্টও করলেন ফেসবুকের দেওয়ালে। এরপর থেকেই ভাইরাল সেই পোস্ট।
আরও পড়ুন: দেবী দু্র্গাকে ‘যৌনকর্মী’ বলে বিতর্কের মুখে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক
গাড়ি চালিয়ে একটি দুর্ঘটনাস্থলে যাচ্ছিলেন ক্রিস্টোফার। যাওয়ার পথেই তার গাড়ির কাচের উপর লাফিয়ে পড়ে জন্তুটি। একটু ধাতস্থ হওয়ার পর ক্রিস্টোফার বুঝতে পারেন প্রাণীটি আসলে একটি রাকুন। শহরের মাঝখানে এমন ঘটনায় হতবাক ক্রিস্টোফার দ্রুত গাড়ির গতি কমিয়ে আনেন। ধীরে ধীরে গাড়ির উপর থেকে নেমেও যায় সেটি।
কী এই রাকুন?
• উত্তর আমেরিকাতেই এদের প্রধান বাসস্থান।
• রাকুন স্তন্যপায়ী প্রাণী।
• প্রধানত পাহাড়ি জঙ্গল এলাকায় থাকতে পছন্দ করে রাকুন।
• আমেরিকা ছাড়াও ইউরোপ, কাউকাসিয়া এবং জাপানে পাওয়া যায় রাকুন।
কলোরাডো পুলিশের এক মুখপাত্র হাওয়ার্ড ব্ল্যাক ডেনভার পোস্টকে জানান, কিছুক্ষণ পর রাকুনটি নিজের থেকেই গাড়ি থেকে নেমে অন্ধকারে মিলিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: দিল্লি, জেএনএউ-এর পর এ বার দক্ষিণেও ধাক্কা খেল এবিভিপি
পুলিশের গাড়ি থামাল রাকুন।
পোস্টটি শেয়ার করার সঙ্গে সঙ্গেই নানা রকম মজার কমেন্টে ভরে যায় ফেসবুকের দেওয়াল। তবে পুলিশের গাড়ি থামানোর মতো এমন গর্হিত ‘অপরাধ’ করার পর রাকুনটির কোনও সাজা হয়েছিল কী না তা অবশ্য জানা যায়নি।