সমুদ্রের উপর আধা ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে পেগাসাস এয়ারলাইনসের ওই যাত্রীবাহী বিমান। ছবি:ইউটিউবের সৌজন্যে।
রানওয়েতে নামার পরই চালক বুঝলেন কিছু গোলমাল হয়েছে। ধীরে ধীরে পিছলে যাচ্ছে বিমানের চাকা। দু’জন পাইলট, যাত্রী, বিমান কর্মী-সহ ১৬২ জন তখন সওয়ার বিমানে।
যে বিপদ আঁচ করছিলেন চালক, ঠিক সেটাই হল। রানওয়ে থেকে ছিটকে পাশে সমুদ্রের দিকে গড়িয়ে গেল বিমান। আধা ঝুলন্ত অবস্থায় পেগাসাস এয়ারলাইনসের ওই বিমানটির ছবি সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়।
কী ভাবে ঘটল এই দুর্ঘটনা? তার সদুত্তর দিতে পারেননি চালক থেকে বিমান সংস্থার কর্তৃপক্ষ কেউই। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলেই দায় এড়িয়ে গিয়েছেন এয়ারলাইনসের উর্ধ্বতন কর্তপক্ষ। তার পর থেকেই মুখে কুলুপ এঁটেছেন সবাই।
আরও পড়ুন:
উঠল নিষেধাজ্ঞা, ফুটবল মাঠে দর্শক সৌদি মেয়েরাও
জিজ্ঞাসা কোরো না, তুমি কী পরেছিলে
তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারা থেকে গত শনিবার যাত্রা করেছিল পেগাসাস এয়ারলাইনসের ওই বিমানটি। ল্যান্ড করার কথা উত্তর তুরস্কের ট্র্যাবজনে। বিমান সুরক্ষিতই ল্যান্ড করেছিল বলে জানিয়েছেন চালক। তবে কীভাবে সেটি রানওয়ে থেকে ছিটকে গেল সেই কারণ এখনও অজানা। সব যাত্রীরাই সুরক্ষিত আছেন বলে নিশ্চিত করেছে পেগাসাস। তবে যাত্রীদের আতঙ্ক এখনও কাটছে না। নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে ফিরেছেন বলে ঈশ্বরকে ধন্যবাদও দিচ্ছেন অনেকে।
বিমানের ভিতর প্রতিটি মুহূর্তই ছিল ভয়ঙ্কর। এমনই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন এক যাত্রী ফাতমা গর্ডু। যে কোনও সময়েই ঘটতে পারত বড়সড় বিপদ। প্রাণহানির সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘বিমানটি ধীরে ধীরে সমুদ্রের দিকে গড়িয়ে যাচ্ছিল। সামনের দিক ঝুলে পড়েছিল। ভিতরে তখন যাত্রীদের চিৎকার। ভয় আর আতঙ্কে দমবন্ধ পরিবেশ।’’
ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে খবর। শনিবারের ঘটনার পর সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল বিমানবন্দর। রবিবার সকালে ফের সেটি চালু করা হয়।