—ফাইল চিত্র।
দেশের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গোপন নথি চুরি করার মামলায় মঙ্গলবার আদালতে হাজিরা ডোনাল্ড ট্রাম্পের। ইতিমধ্যেই ফ্লরিডায় পৌঁছে গিয়েছেন আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। আদালতে হাজিরার আগে বিপাকে পড়লেন ট্রাম্প। রিপাবলিকান নেতার দুই শীর্ষ অ্যাটর্নি পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার ট্রাম্পের হয়ে কোন আইনজীবী সওয়াল করবেন, তা নিয়েই এখন আলোচনা শুরু হয়েছে। যোগ্য আইনজীবীকে হন্যে হয়ে খুঁজছে ট্রাম্পের আইন বিষয়ক পরামর্শদাতা দল। সিএনএন জানাচ্ছে, মঙ্গলবার আদালতে ট্রাম্পের হয়ে সওয়াল করতে পারেন তাঁর অ্যাটর্নি টড ব্লাঞ্চ। তবে তিনি শেষ পর্যন্ত সওয়াল করবেন কি না, তা স্পষ্ট নয়।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলায় প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের হয়ে কে সওয়াল করবেন, সে নিয়ে গত সপ্তাহান্তে একাধিক আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছে ট্রাম্পের দল। তবে শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার আদালতে ট্রাম্পের হয়ে কোন আইনজীবী সওয়াল করবেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। সিএনএন-এর প্রতিবেদন বলছে, ফ্লরিডার অনেক আইনজীবী নিজে থেকেই ট্রাম্প শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। গত শুক্রবার ট্রাম্পের দুই শীর্ষ অ্যাটর্নি জিম ট্রাস্টি এবং জন রাওলি ইস্তফা দেন। তার পর ব্লাঞ্চকে এই মামলায় আইনজীবী হিসাবে নিযুক্ত করার কথা জানান ট্রাম্প। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার ট্রাম্পের হয়ে কোন আইনজীবী সওয়াল করেন, তার ফল কী হয়, তা ভবিষ্যৎই বলবে।
বুধবার ট্রাম্পের জন্মদিন। তার আগের দিনই আদালতে হাজিরা দেবেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। দেশের গোপন নথি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। যুক্তরাষ্ট্রীয় আদালতে মুখবন্ধ খামে জমা পড়া সেই অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগ, হোয়াইট হাউস ছাড়ার সময়ে দেশের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত, পরমাণু গবেষণা সংক্রান্ত প্রায় ১০০টি নথি নিজের ফ্লরিডার বাড়িতে নিয়ে গিয়েছেন ট্রাম্প। দেশের প্রাক্তন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে দাখিল করা ৪৯ পাতার চার্জশিটের ভিত্তিতেই শুরু হয়েছে তদন্ত। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যে ৩৭টি অভিযোগ আনা হয়েছে, তার মধ্যে ৩১টির মূল বিষয়ই হল, ‘ইচ্ছাকৃতভাবে দেশের গুরুত্বপূর্ণ এবং গোপন নথি নিজের কাছে’ রেখে দিয়েছেন তিনি। এই অভিযোগের পাল্টা সরব হয়েছেন ট্রাম্প। বিচারব্যবস্থাকে হাতিয়ার করে তাঁকে হেনস্থা করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জো বাইডেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেছেন তিনি। সব মিলিয়ে, ট্রাম্পের কোর্টে হাজিরা আন্তর্জাতিক দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে। কারণ, ২০২৪ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প প্রার্থী হতে পারবেন কি না, তা এক প্রকার নিশ্চিত হবে এই শুনানিতে কী রায় হয় তার উপর।