শাকিল আফ্রিদি। ফাইল চিত্র।
পাওয়ার কথা ছিল পুরস্কার। তার জায়গায় মিলেছে কারাদণ্ড! বিড়ম্বনার শেষ নয় এখানেই। ওসামা বিন লাদেনকে খুঁজে বের করার কাজে যিনি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-কে সাহায্য করেছিলেন, সেই পাক চিকিত্সক শাকিল আফ্রিদিকে পেশোয়ারের কারাগার থেকে অজ্ঞাত জায়গায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তিনি কেমন আছেন, কেনই বা তাঁকে স্থানান্তরিত করা হল,তার গোটাটাতেই রহস্য। শাকিলের পরিবার উত্তর চায়। কিন্ত পাক প্রশাসনের মুখে কুলুপ।
পাকিস্তানের অ্যাবটাবাদের কোনও এক জায়গায় লাদেন লুকিয়ে রয়েছেন খবর পেয়ে, নিঃশব্দ অভিযানে নেমেছিল সিআইএ। শোনা যায়, শাকিলকে প্রথম থেকে সাহায্য করেছিলেন পাক চিকিত্সক শাকিল আফ্রিদি। তাঁর কাজ ছিল ভুয়ো প্রতিষেধক কর্মসূচির হয়ে প্রচার চালানো এবং রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা। আর তাতেই কেল্লা ফতে। শাকিলের পাঠানো নমুনা থেকে সিআইএ জানতে পারে, অ্যাবটাবাদের ‘ওয়াজিরিস্তান হাভেলি’ নামের সাদা বাড়িতে লুকিয়ে রয়েছেন সন্ত্রাসের কারিগর বিন লাদেন। এর পর তো গোটাটাই ইতিহাস। ২০১১ সালের ২ মে। নিশুতি রাতে মার্কিন সেনা অভিযানে লাদেনের মৃত্যু হয়। আর পাকিস্তানের বিষ নজরে পড়ে যান চিকিত্সক শাকিল আফ্রিদি।
২০১২ সালের মে মাসে শাকিল আফ্রিদিকে ৩৩ বছরের কারাদণ্ড দেয় পাক আদালত। অভিযোগটা গুরুতর। এই চিকিত্সকের সঙ্গে নাকি জঙ্গিদের যোগাযোগ রয়েছে। যদিও এ কথা তাঁর পরিবারের তরফ থেকে অস্বীকার করা হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলোও অভিযোগের সুরে বলেছে, লাদেনের সন্ধান দিয়ে পাক প্রশাসনকে চটিয়েছেন এই চিকিত্সক। সেই জন্যেই তাঁকে জেলে পাঠানো হয়েছে।
শাকিল আহমেদের মুক্তি চেয়েছেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অজ্ঞাত কারাগারে চালানের পর শাকিলের পরিবারের কাছে চিঠি পাঠিয়ে পাক প্রশাসন শুধু বলেছে, তাঁকে সুরক্ষিত জায়গায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। কিন্ত কেন তাঁকে সুরক্ষিত জায়গায় পাঠানোর দরকার পড়ল, তার কোনও উত্তর দেয়নি পাক প্রশাসন।