International News

ট্রাম্পকে হতবাক করে মোদীর আলিঙ্গন!

হোয়াইট হাউসে রোজ গার্ডেনের লনে তখন সাংবাদিকদের ভিড়। যৌথ বিবৃতি দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অপেক্ষায় বিশ্বের তাবড় মিডিয়া। তবে, বিবৃতি দিতে মাইকের দিকে উঠে যাওয়ার আগে প্রথমে ট্রাম্পের কাছে এগিয়ে গেলেন মোদী। তাঁকে আচমকাই জড়িয়ে ধরেন তিনি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০১৭ ১৭:১৫
Share:

নরেন্দ্র মোদীর আলিঙ্গনে দৃশ্যতই অপ্রতিভ ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: পিটিআই।

করমর্দন প্রসঙ্গে একাধিক বার সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে তাঁর নাম। কিন্তু, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সেই করমর্দন রীতিকে এ বার বোধহয় ম্লান করে দিল নরেন্দ্র মোদীর আলিঙ্গন!

Advertisement

হোয়াইট হাউসে রোজ গার্ডেনের লনে তখন সাংবাদিকদের ভিড়। যৌথ বিবৃতি দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অপেক্ষায় বিশ্বের তাবড় মিডিয়া। তবে, বিবৃতি দিতে মাইকের দিকে উঠে যাওয়ার আগে প্রথমে ট্রাম্পের কাছে এগিয়ে গেলেন মোদী। তাঁকে আচমকাই জড়িয়ে ধরেন তিনি। ট্রাম্পের চোখমুখে তখন দৃশ্যত অস্বস্তির ছাপ। যদিও তা কাটিয়ে উঠে মোদীর পিঠ বার কয়েক চাপড়ে দেন তিনি। এর পরে ছিল করমর্দনের পালা।

আরও পড়ুন

Advertisement

মোদী-ট্রাম্পের প্রথম সাক্ষাতেই সন্ত্রাস নিয়ে ইসলামাবাদকে কড়া বার্তা

এক বার নয়, সোমবার গোটা দিনে ট্রাম্পকে তিন-তিন বার আলিঙ্গন করেন মোদী। আর গোটাটাই সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনে। মোদীর ওই আলিঙ্গন ট্রাম্পের কাছে যে রীতিমতো অস্বস্তির ঠেকেছে, সেই দাবি নিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সরগরম। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ভাইরাল বন্ধুত্বের সেই ‘উষ্ণতার’ ছবি। সে দিন সন্ধ্যাতেও একই ভাবে তিনি রোজ গার্ডেনের লনে দু’বার আলিঙ্গন করেন ট্রাম্পকে। পরে হোয়াইট হাউস ছেড়ে যাওয়ার সময় আরও এক বার। প্রথম বার বিবৃতি দিতে ওঠার আগে, ট্রাম্পকে আলিঙ্গন করেন মোদী। সেই সময় অস্বস্তিতে পড়েও মোদীর পিঠ চাপড়ে দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এর পরে দ্বিতীয় বার যখন ট্রাম্পকে আলিঙ্গন করেন মোদী, তখন তাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাঁধের কাছে মাথা রাখতে দেখা যায়। এখানেই শেষ নয়। প্রায় একই ছবিই ফের দেখা গেল প্রধানমন্ত্রী হোয়াইট হাউস ছেড়ে বেরনোর সময়। করমর্দনের পর আলিঙ্গন। ট্রাম্পের বাঁ-কাঁধে এক বার এবং অপর কাঁধে আরও এক বার মাথা রাখেন মোদী। এ বারও মোদীর পিঠ চাপড়ে তার প্রত্যুত্তর দেন ট্রাম্প। এ সব দৃশ্যই ধরা পড়ে মিডিয়ার ক্যামেরায়।

বিশ্বের একাধিক নেতার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আলিঙ্গন। ছবি: এপি।

গত ফেব্রুয়ারিতে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে প্রায় ১৯ সেকেন্ড করমর্দনের পর আলিঙ্গল করে সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই ফেলে দেন ট্রাম্প। পরে তিনি অবশ্য সেই দীর্ঘ করমর্দন নিয়ে যুক্তিও দিয়েছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, “আমাদের মধ্যে অত্যন্ত গভীর রসায়ন রয়েছে।” শুধুমাত্র শিনজো আবে-ই নন, গত জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে-র সঙ্গে হাত ধরে হেঁটে মিডিয়া সরগরম করে তুলেছিলেন ট্রাম্প। তবে, মোদীও বিশ্বের বিভিন্ন নেতাকে এর আগে আলিঙ্গন করে মিডিয়ার চর্চায় উঠে এসেছেন। ২০১৪-তে তৎকালীন অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী টোনি অ্যাবট, গত বছর কিয়োটোতে জাপানের প্রধানমন্ত্রী বা দিল্লিতে আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা অথবা চলতি বছরে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্‌রঁ— বিশ্বের তাবড় নেতাকে আলিঙ্গনাবদ্ধ করেছেন মোদী।

ভারতীয় সংস্কৃতিতে আলিঙ্গনকে সৌহার্দ্যের অংশ হিসাবেই দেখা হয়। তবে, বিশ্বের অন্য অনেক দেশ আছে যেখানে এই রীতি তেমন ভাবে প্রচলিত নয়। আবার ব্যক্তি বিশেষেও ‘আলিঙ্গন’ পছন্দ-অপছন্দের বিষয় থাকে। সব মিলিয়ে ঠিক কী কারণে ট্রাম্পের অস্বস্তিদায়ক মুখ দেখা গিয়েছিল, তা নিয়ে যদিও মার্কিন মিডিয়ায় কিছু লেখা হয়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement