গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
দেশে ঘাঁটি গেড়ে থাকা সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে পাকিস্তান নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই অর্থসাহায্য বন্ধ করবে, এমনটাই আশা করছে দিল্লি। আর সেটা আন্তরিক ভাবে, সদিচ্ছার সঙ্গেই করা হবে বলে দিল্লির অনুমান। আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ)’ গত শুক্রবার ইসলামাবাদকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ও জঙ্গিদের যাবতীয় অর্থিক মদত বন্ধ করতে হবে। না হলে পাকিস্তানের পরিণতি ভাল হবে না। ইসলামাবাদকে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। ভারত বহু দিন ধরেই পাকিস্তানকে কালো তালিকাভুক্ত করা দাবি জানিয়ে আসছে এফএটিএফ-এর কাছে।
এফএটিএফ-এর সেই হুঁশিয়ারির কথা ইসলামাবাদকে মনে করিয়ে দিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার শনিবার বলেছেন, ‘‘এ ব্যাপারে ইসলামাবাদের পদক্ষেপ যেন বিশ্বাসযোগ্য হয়। নিরপেক্ষ ভাবে কেউ তা খতিয়ে দেখতে চাইলে যেন হতাশ না হতে হয়। সেই পদক্ষেপ যেন চোখে পড়ার মতো হয়। আর তা শুরুর পরেই যেন থমকে না যায়। ফের যেন সেই অর্থসাহায্য শুরু না হয়।’’
এফএটিএফ যে এই প্রথম এ ব্যাপারে হুঁশিয়ারি দিল পাকিস্তানকে, তা নয়। এর আগেও ইসলামাবাদের জন্য দু’বার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। এ বছরের জানুয়ারি ও মে মাসে। কিন্তু ইসলামাবাদ ওই দু’টি সময়সীমার মধ্যেই জঙ্গিদের অর্থসাহায্য বন্ধ করতে পারেনি।
আরও পড়ুন- জঙ্গি দমনে ব্যবস্থা না হলে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে, পাকিস্তানকে চরম হুঁশিয়ারি
আরও পড়ুন- দেড়শো জনের প্রাণ যাবে, শুনেই পিছিয়ে যান ট্রাম্প
পারেনি বলেই এফএটিএফ যে এখনও পাকিস্তানকে ‘গ্রে লিস্ট (ধূসর তালিকা)-এ রেখেছে, এ দিন সে কথাও মনে করিয়ে দেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র। ২০১৮-র জুন থেকেই ওই তালিকায় রয়েছে পাকিস্তান।
রবীশ বলেছেন, ‘‘সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যে সময়টুকু হাতে রয়েছে, আমাদের আশা, পাকিস্তান তার মধ্যেই প্রয়োজনীয় সব রকমরে ব্যবস্থা নেবে। এফএটিএফ-এর অ্যাকশন প্ল্যানকে কার্যকর করতে। নিজের ভূখণ্ডে ঘাঁটি গেড়ে থাকা সন্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে আর্থিক মদত দেওয়া বন্ধ করবে।’’