বছর সতেরোর এক তরুণী বাবাকে জানিয়েছিলেন, তিনি হিজাব খুলে রাখতে চান। মেয়েকে জবাবও দেন বাবা। বাবা-মেয়ের সেই কথোপকথন এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল। টুইটারের ওই পোস্টে এখনও পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ লাইক। পোস্টটি প্রায় দেড় লক্ষ বার শেয়ার হয়েছে!
লামিয়া আলসেরি, বছর সতেরোর মুসলিম কিশোরী। আমেরিকার পেনসিলভেনিয়ার বাসিন্দা। একটি চ্যাটিং গ্রুপে বন্ধুদের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রসঙ্গে কথাবার্তা হচ্ছিল তাঁর। সেখানে মুসলিমদের প্রতি ট্রাম্পের চিন্তাভাবনার সমালোচনা করেন লামিয়া। তখন গ্রুপেরই এক জন তাঁকে বলেন, “ইসলামের গুণগান করা বন্ধ করো। তুমি তোমার হিজাব খুলতে পারবে কি? হিজাব যদি খোলো তোমার বাবা তোমাকে তা হলে চাবকে লাল করে দেবে!”
কথাটা ঠিক নিতে পারেননি লামিয়া। সত্যিই কি বাবা মারবেন, হিজাব খুললে? এর পরেই ওই কিশোরী কর্মসূত্রে সৌদি আরবে থাকা তাঁর বাবাকে বিষয়টি জানিয়ে মেসেজ করেন। কী উত্তর আসবে উত্কণ্ঠায় ছিলেন লামিয়া। কিন্তু বাবা যে উত্তরটা দিলেন অবাক হন লামিয়া।
কী সেই কথোপকথন?
লামেয়া: বাবা, আমি তোমাকে কিছু বলতে চাই।
বাবা: তুমি ঠিক আছো তো! বল কী বলতে চাও।
লামেয়া: হ্যাঁ বাবা, আমি ঠিক আছি। আমি ভাবছি...আমি আমার হিজাব খুলে ফেলতে চাই।
আরও পড়ুন
যে কোনও মুহূর্তে শুরু হবে পরমাণু যুদ্ধ: চরম হুঁশিয়ারি উত্তর কোরিয়ার
এ কথা শোনার পর বাবার কী প্রতিক্রিয়া! বিশ্বের বেশির ভাগ মানুষ যা ভাবছেন বা ভেবেছেন, লামেয়াও তাই ভেবেছিলেন। কিন্তু লামেয়ার বাবা যা বললেন, তা একেবারেই অপ্রত্যাশিত!
বাবা: এটা আমার সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় নয়। তুমি যেটা ভাল মনে করবে, সেটাই করতে পারো। যা করবে়, তাতেই আমার সমর্থন থাকবে।
লামেয়ার বাবার এই জবাব প্রকাশ্যে ঝড় ওঠে টুইটারে। লামেয়ার বাবার এই কথা লাখো মানুষের মন জিতে নেয়। কেউ আবার আক্ষেপ করে লেখেন, “সবাই তো আর লামেয়ার মতো সহযোগিতা পায় না!”
ধর্মের উর্ধ্বে উঠে মেয়ের ইচ্ছাকে সমর্থন জানিয়ে ওই বাবা এখন সোশ্যাল মিডিয়ার হিরো। তবে পরে টুইট করে লামিয়া জানান, হিজাব খোলার তাঁর কোনও পরিকল্পনা নেই।