school

ছাত্রদের নগ্ন ছবি পাঠাতেন শিক্ষিকা, বাদ দেননি মেয়ের প্রেমিকদেরও! ধরা পড়ে এখন শাস্তির অপেক্ষায়

মূলত ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সি ছাত্রদেরই সেরেনা এই ধরনের সম্পর্কের জন্য বেছে নিতেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাঁদের সঙ্গে প্রথমে যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ কথাবার্তা, পরে নগ্ন ছবি আদান প্রদানও করতেন তিনি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওকলাহোমা শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২৩ ২০:০৭
Share:

এক ছাত্র সেরেনার গোপন কথা ফাঁস করে দেয় প্রতীকী ছবি।

ছাত্রদের সঙ্গে যৌন সংসর্গের অভিযোগ উঠল হাই স্কুলের এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। ওই শিক্ষিকার বয়স ৪৩। অন্তত ১০ জন নাবালক ছাত্রকে তিনি তাঁর নগ্ন শরীরের ছবি পাঠিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্ত করে তাঁরা জানতে পেরেছে, এই ১০ জন ছাত্রের তালিকায় থাকা ২ জন তাঁর কন্যার প্রাক্তন এবং বর্তমান প্রেমিক।

Advertisement

আমেরিকার শহর ওকলাহোমার ঘটনা। সেখানকার পোটাওয়াটোমি কাউন্টির ম্যাকলাউড হাইস্কুলের শিক্ষিকা সেরেনা কার্টার। তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছে এই অভিযোগ। সেরেনাকে গত ১৬ মার্চ গ্রেফতারও করেছিল পুলিশ। তবে আপাতত তিনি জামিনে মুক্ত। আদালতে তাঁর মামলাটির বিচার চলছে। দোষী প্রমাণিত হলে বহুবছর তাঁকে জেলেই কাটাতে হতে পারে বলে অনুমান। কারণ সেরেনার বিরুদ্ধে সবক’টি অভিযোগই অপরাধের নিরিখে গুরুতর।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, সেরেনা সমাজমাধ্যমে তাঁর ছাত্রদের প্রোফাইল ঘেঁটে বেছে নিতেন তাঁর ‘শিকার’। তার পরেই বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে ছাত্রদের সঙ্গে শুরু হত কথোপকথন। যা দ্রুত মোড় নিত যৌন ইঙ্গিতবাহী কথাবার্তায়।

Advertisement

মূলত ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সি ছাত্রদেরই সেরেনা এই ধরনের সম্পর্কের জন্য বেছে নিতেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাঁদের সঙ্গে প্রথমে যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ কথাবার্তা, পরে সরাসরি যৌন সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা এবং নগ্ন ছবি আদান প্রদানও করতেন তিনি। সেই সমস্ত মোবাইল বার্তা পুলিশের হাতে এসেছে বলে জানিয়েছে ওকলাহোমা প্রশাসন।

তবে তদন্তে নেমে আরও একটি বিষয় জেনে বিস্মিত হয়েছে পুলিশ। তারা জানিয়েছে, সেরেনা যে ছাত্রদের সঙ্গে এই ধরনের সম্পর্কে জড়াতেন, তাদের বাবা-মায়েদের সঙ্গেও ভাল সম্পর্ক রাখতেন। মাঝে মধ্যেই সেই ছাত্রের ক্লাসরুমে বসে পড়াশোনা করার ছবি বা ছেলের স্কুলে ভাল পড়াশোনা করছে জাতীয় মোবাইল বার্তা পাঠাতেন তাঁদের।

কিন্তু গত নভেম্বরে হঠাৎই এক ছাত্র সেরেনার গোপন কথা ফাঁস করে দেয় নিজের বাবা-মায়ের কাছে। সেরেনা তাঁকে যৌন উস্কানিমূলক ছবি এবং মেসেজ পাঠাচ্ছেন বলে বাড়িতে জানায় সে। এমনকি, তার মতো অনেকেই ওই ধরনের ছবি এবং মেসেজ পেয়েছে বলেও জানায় ছাত্রটি। এর পর ওই ছাত্রের পরিবার প্রথমে স্কুল কর্তৃপক্ষকে পরে পুলিশকে বিষয়টি জানায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই প্রথম সেরেনার বিরুদ্ধে তদন্তে নামে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement