প্রতীকী ছবি।
পাকিস্তানের আফগান দূতাবাস ও কনসুলেটগুলিতে প্রতিনিধি পাঠাচ্ছে তালিবান সরকার। পাক বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, সোমবার আনুষ্ঠানিক ভাবে দায়িত্ব নেবেন তাঁরা। ইলসামাবাদের পাক দূতাবাসে তালিবানের প্রথম সচিব হিসাবে নিযুক্ত হচ্ছেন সর্দার আহমেদ খান শোকেব। পাকিস্তানে পৌঁছে গিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি পেশোয়ার, করাচি ও কোয়েটার উপদূতাবাস বা কনসুলেটে ইতিমধ্যে পৌঁছেছেন বাকি তালিবান প্রতিনিধিরা।
মাস খানেক আগে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় এলেও তালিবান সরকারকে এখনও স্বীকৃতি দেয়নি বেশির ভাগ দেশ। ইউরোপের বহু দেশ এবং আমেরিকা তাদের দেশে আফগান সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের গচ্ছিত রাখা অর্থ আটকে রেখেছে।
চিনের পাশাপাশি পাকিস্তান অবশ্য প্রথম থেকেই তালিবান সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে। তবে আমেরিকার মতোই এখনও তালিবান সরকারকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি ইসলামাবাদ। ফলে আফগান দূতাবাসে তালিবান প্রতিনিধি এসে পৌঁছলেও তিনি এখনই রাষ্ট্রদূতের পদ ব্যবহার করতে পারবেন কি না সে বিষয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছে। পাক বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এ নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।
মাস খানেক আগে ইসলামাবাদের আফগান দূতাবাস ছেড়েছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত। তখনও আফগানিস্তানের ক্ষমতায় ছিলেন আশরফ গনি সরকার। সেই রাষ্ট্রদূতের মেয়েকে অপহরণের পরেই তিনি ইসলামাবাদ ছাড়েন। তার পর থেকে পাকিস্তানে এই পদ খালি ছিল। অন্য দিকে আফগানিস্তানে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তানে প্রচুর আফগান শরণার্থী এসে পৌঁছেছেন। নতুন রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিরা কাজে যোগ দিলে তাঁদের অনেক সমস্যার সুরাহা হবে। পাশাপাশি দুই দেশের যৌথ বিষয়গুলির কাজকর্ম ফের চালু করা যাবে বলে মনে করছেন কূটনীতিকেরা।