আফগানিস্তানের দখল তালিবানের হাতে। ছবি— রয়টার্স।
ক্ষমতা দখল হয়েছে। ভবিষ্যতের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, দেশের নিরাপত্তা এবং সামাজিক বিভিন্ন বিষয় কী ভাবে মোকাবিলা করা হবে, নতুন সরকার গঠন কবে হবে, এ সব বিষয় নিয়েই আলোচনায় বসেছিলেন তালিবানের শীর্ষ নেতৃত্ব। গত শনিবার থেকে সোমবার অবধি কন্দহর প্রদেশে হয়েছে তালিবদের বৈঠক। মঙ্গলবার এই বৈঠকের কথা জানিয়েছেন তালিবানের মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ।
মঙ্গলবার একটি টুইটে জাবিউল্লা লিখেছেন, ‘ইসলামিক আমিরশাহির প্রধান নেতা, তালিবানের বিশ্বাসযোগ্য কমান্ডার শেখ আল হাদিত হিবাউল্লার নেতৃত্বে বৈঠক হয়েছে।’ সেই বৈঠকে রাজনৈতিক, সামাজিক এবং আফগানিস্তানের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তালিবানের মুখপাত্র। নতুন সরকার গঠন নিয়েও ওই বৈঠকে আলোচনা করেছেন তালিবরা। এ বিষয়ে তালিবানের শীর্ষ নেতৃত্ব কিছু নির্দেশও দিয়েছেন।
আশরফ গনি সরকারের পতন ঘটিয়ে আফগানিস্তানের দখল নিয়ে তালিবান। বিদেশি সেনাবাহিনী দেশ ছেড়ে না গেলে নতুন সরকার গঠন করবে না বলে জানিয়েছিল তালিবান। অগস্ট শেষ হতেই আমেরিকার বাহিনী কাবুল বিমানবন্দর ছেড়ে চলে গিয়েছে। এর পর আফগানিস্তানকে ‘পুরোপুরি স্বাধীন’ ঘোষণা করেছে তালিবান। সরকার গঠন নিয়েও তাঁরা যে প্রস্তুতি চালাচ্ছে, এই বৈঠকই তার প্রমাণ।