আফগানিস্তানের একের পর এক শহর দখল করছে তালিবানরা।
গজনীর পর কন্দহর। আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর দখল করে নিল তালিবান। তালিবানদের এক মুখপাত্র আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে বলেছেন, ‘‘কন্দহর পুরোপুরি দখলে এসেছে। মুজাহিদিনরা শহরের শহিদ স্কোয়ারে পৌঁছে গিয়েছেন।’’ সেখানকার স্থানীয়রাও আফগান সেনার পিছু হঠার কথা জানিয়েছেন। কন্দহরের দক্ষিণে অবস্থিত লস্কর গাহ শহরেরও দখল নিয়েছে তালিবানরা। তালিবানদের এই দখলের কথা এএফপি-কে জানিয়েছেন আফগান সেনার এক আধিকারিক।
আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রদেশের রাজধানীর মধ্যে ১২টি প্রদেশের রাজধানী ইতিমধ্যেই দখল করেছে তালিবান। গজনী এবং কন্দহরের মতো আফগানিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ শহরের দখল নেওয়া এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। যদিও দেশের রাজধানী কাবুল এখনও আফগান সরকারের দখলেই রয়েছে। কিন্তু এই দু’টি শহর দখলের পর, কাবুলের সঙ্গে শহরগুলির সম্পর্ক ছিন্ন করার চেষ্টা চালাচ্ছে তালিবান।
এই পরিস্থিতিতে কাবুলের ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে নয়া সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। বিশেষত আফগানিস্তানে কর্মরত সাংবাদিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে দূতাবাসের তরফে। দূতাবাসের এক উপদেষ্টা বলেছেন, ‘‘বাঁধ তৈরির কাজে নিযুক্ত তিন ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারকে জরুরি পরিস্থিতিতে উদ্ধার করা হয়েছে। ভারতীয় নাগরিকদের অনুরোধ করা হচ্ছে, তাঁরা যেন দূতাবাসের নির্দেশিকা অমান্য করে নিজেদের জীবন বিপন্ন করে না তোলেন।’’ সে দেশে থাকা ভারতীয় সাংবাদিকদেরও অতিরিক্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।
এর মধ্যেই কাবুলের দূতাবাস থেকে নিজেদের দেশের নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে আমেরিকা এবং ব্রিটেন। কাবুলে থাকা নাগরিকদের সরানোর জন্য তিন হাজার সেনাও পাঠাচ্ছে আমেরিকা এবং ৬০০ সেনা পাঠাচ্ছে ব্রিটেন। যদিও এই সেনা তালিবানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামবে না। সম্প্রতি আমেরিকার গোয়েন্দা দফতরের তরফে আশঙ্কা করা হয়েছে, আগামী এক মাসের মধ্যেই আফগানিস্তানের দখল পুরোপুরি ভাবে যেতে পারে তালিবানের হাতে।