প্রেসিডেন্ট চাই ইং-ওয়েন।
চিনের সঙ্গে যুদ্ধে নামাটা কোনও বিকল্প নয়, তাইওয়ানের জাতীয় দিবসের বক্তৃতায় এমন বার্তাই দিলেন প্রেসিডেন্ট চাই ইং-ওয়েন। তবে একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, নিজেদের দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার তাগিদে প্রতিরক্ষা বাহিনীকে সর্বদা প্রস্তুত রাখতে চান তিনি। এ বিষয়ে আপসের প্রশ্নই নেই।
আজ সকালে রাজধানী তাইপেইয়ের সেই অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশ থেকে নানা অতিথি উপস্থিত ছিলেন। যাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন আমেরিকান কংগ্রেসের সদস্যা তথা ডেমোক্র্যাট নেত্রী এডি বার্নিস জনসন। গত অগস্টে আমেরিকান হাউস অব রিপ্রেজ়েন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইপেই সফরে কেন্দ্র করেই চিনের সঙ্গে তাইওয়ানের দ্বন্দ্ব চরমে ওঠে। পেলোসির সফরের ঠিক পর পরই তাওয়ান প্রণালীতে নজিরবিহীন সামরিক মহড়া চালায় চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি। তার পরেও তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে মাঝে মধ্যেই ঢুকে পড়ে চিনা যুদ্ধবিমান। তাইওয়ান প্রণালীতেও মধ্যরেখা (দু’দেশের মধ্যে অঘোষিত বিভাজন রেখা) অতিক্রম করে প্রবেশ করে চিনা যুদ্ধজাহাজ।
তবে জাতীয় দিবসের ভাষণে সেই তিক্ততাকে সরিয়ে রেখে শান্তি প্রতিষ্টার বার্তা দিতে চেয়েছেন প্রেসিডন্ট চাই। চিনের শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের উদ্দেশে তিনি জানিয়েছেন, তাইওয়ান প্রণালীতে যাতে শান্তি ও সুস্থিতি বজায় থাকে, তার জন্য আলোচনায় বসতে তিনি ও তাঁর সরকার সর্বদা প্রস্তুত। তবে একই সঙ্গে স্বশাসিত এই অঞ্চলের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য যে তাঁরা সব কিছু করতে পারেন। তাঁর কথায়, ‘‘তাইওয়ানের মানুষ চান নিজেদের সার্বভৌমত্ব ও গণতান্ত্রিক জীবনধারা বজায় রাখতে। তাতে কোনও আপস করতে চাই না।’’ তবে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, প্রয়োজনে তাইওয়ানের বিরুদ্ধে সামরিক আগ্রাসন নীতি নিতে পিছপা হবে না তাঁর সরকার।