আবার কি চিন-তাইওয়ান সংঘাত? ফাইল চিত্র।
চিন-তাইওয়ান বিরোধে এ বার নয়া মাত্রা যোগ করল ইন্টারনেট। চিনের বিরুদ্ধে ইন্টারনেট সংযোগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ করেছে তাইওয়ান। চিনের তরফে অবশ্য এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
চিনের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন তাইওয়ানের উপকূলবর্তী অ়ঞ্চল মাৎসুতে প্রায় ১৪ হাজার মানুষ বসবাস করেন। দু’টি সাবমেরিনের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ বজায় রাখা হয় মাঝারি এই জনপদের। অভিযোগ, গত ২ ফেব্রুয়ারি চিনের একটি মাছ ধরার নৌকা একটি সাবমেরিনে ধাক্কা মারে। তারপর ৮ ফেব্রুয়ারি চিনের একটি মালবাহী জাহাজ অপর সাবমেরিনটিতে ধাক্কা মারে। সংবাদ সংস্থা এপির তরফে এই খবরের সত্যতা স্বীকার করে নেওয়া হয়। তাইওয়ান প্রশাসনের দাবি, পরিকল্পনামাফিক এই কাজ করেছে চিন।
চিনের ‘আঘাতে’র পর ইন্টারনেট সংযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় মাৎসুতে। তবে রেডিয়ো ট্রান্সমিশনের মাধ্যমে সীমিত গতির ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে মাৎসুতে। দ্রুত ইন্টারনেট পরিষেবা আগের অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে তাইওয়ানের উপকূলবর্তী এই জনপদ।
গত বছর আমেরিকার হাউজ় অফ রিপ্রেজ়েন্টেটিভসের স্পিকার তৎকালীন ন্যান্সি পেলোসির সফরের পরেই তাইওয়ানের সঙ্গে চিনের সম্পর্ক উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তাইওয়ানকে চিন নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মনে করলেও আমেরিকা বরাবরই তাইওয়ানের ‘স্বাতন্ত্র্য’কে স্বীকৃতি দিয়ে এসেছে। পেলোসির সফরের পরেই একাধিকবার আকাশপথে এবং জলপথে মহড়া চালায় চিনের সেনা।