৫৯ বছরের রানার আদি বাড়ি পাকিস্তানে। সে হামলার আর এক ষড়যন্ত্রকারী ডেভিড কোলম্যান হেডলির ছোটবেলার বন্ধু।
যে জঙ্গিরা মুম্বই হামলার সঙ্গে যুক্ত, তাদের সর্বোচ্চ পাকিস্তানি সম্মান দেওয়া উচিত। সেই সঙ্গে তারও পাওয়া উচিত পদক, এমনই দাবি করেছিল ২৬/১১ হামলার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত, পাক বংশোদ্ভূত কানাডার ব্যবসায়ী তাহাউর রানা। আদালতে রানা সম্পর্কে এমনই মন্তব্য মার্কিন প্রশাসনের। ৫৯ বছরের রানার আদি বাড়ি পাকিস্তানে। সে হামলার আর এক ষড়যন্ত্রকারী ডেভিড কোলম্যান হেডলির ছোটবেলার বন্ধু। মুম্বই হামলার প্রেক্ষিতে মার্কিন প্রশাসনের কাছে ভারত রানাকে প্রত্যর্পণের দাবি জানালে গত ১০ জুন তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মার্কিন আইনজীবী ভারতে প্রত্যর্পণের পক্ষে সওয়াল করে বলেছেন, হেডলি, রানা-সহ অন্য বেশ কিছু ষড়য়ন্ত্রকারী ২৬ থেকে ২৯ নভেম্বর একের পর এক হামলার বিষয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা করেছিল। এই সময়ের মধ্যে ভারতে লস্কর-ই-তইবার ১০ জঙ্গি হামলা চালিয়েছিল।
আদালতে মার্কিন প্রশাসনের পক্ষের আইনজীবী আরও জানিয়েছেন, ১৯৭১ সালের পাক স্কুলে জঙ্গি হামলার সঙ্গে তুলনা করে রানা সে সময় হেডলিকে বলেছিল, ‘এবার সব শোধ-বোধ হল। ভারতীয়দের এটাই প্রাপ্য।’ শুধু তাই নয়, ২০০৯ সালে একবার এফবিআই-এর জিজ্ঞাসাবাদের সামনে রানা বলেছিল, ন’জন হামলাকারি সে দিন মারা পড়েছিল। সেই সব লস্কর জঙ্গির পাকিস্তানের শ্রেষ্ঠ সামরিক সম্মান দেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: বেলা ৩টেয় বৈঠকের ডাক কৃষিমন্ত্রীর, ৫০০ গোষ্ঠীকেই ডাকতে হবে, শর্ত কৃষকদের
এখানেই শেষ নয়, মুম্বই হামলার ‘সাফল্য’ নিয়ে উচ্ছ্বসিত রানা নিজের জন্য পদক চেয়েছিল। নিজেই হয়তো সেই কথা বলত সে, কিন্তু যখন সে জানতে পারল, হেডলি আগেই এই কথা জানিয়েছেন, তখন সে খুশি হয়েছিল। এমনই লিখেছেন মার্কিন প্রশাসনের আইনজীবী।
আরও পড়ুন: ফের সঙ্ঘাত? জোন পর্যবেক্ষক পদে সৌমিত্রর সব নিয়োগ আটকে দিলেন দিলীপ
হেডলি ক্রমাগত রানাকে ভারতে বিভিন্ন অংশে টার্গেট নির্দিষ্ট করার কাজে ব্যবহার করত বলে খবর। কোথায় কোথায় ভবিষ্যতে আরও হামলা চালানো যায়, ২০০৯ সালে সেই নিয়ে আলোচনায় হযেছিল রানার সঙ্গে। কিন্তু ৩ অক্টোবর ২০০৯ সালে হেডলিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরিকল্পনা ওখানেই মাটি হয়।