Anne Frank

আমস্টারডামে আক্রান্ত আনা ফ্রাঙ্কের মূর্তি! রং লাগানো হল, লেখা হল ‘মুক্ত গাজ়া’র জন্য স্লোগান

সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার আনা ফ্রাঙ্কের মূর্তিটিকে স্প্রে পেন্ট করা হয় এবং তাতে লেখা হয় ‘ফ্রি গাজ়া’, অর্থাৎ গাজ়া মুক্ত করো। মূর্তিটিকে লাল রঙও করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২৪ ০০:৪২
Share:

আনা ফ্রাঙ্কের মূর্তি। ছবি: সংগৃহীত।

হামাস-ইজ়রায়েল যুদ্ধ চলছে প্রায় ন'মাস ধরে। এই যুদ্ধের আবহে রবিবার আমস্টারডামে আনা ফ্রাঙ্কের মূর্তি বিকৃত করল দুষ্কৃতীরা। মেরওয়েডেপ্লেইনে আনা ফ্রাঙ্কের মূর্তির নীচে কে বা কারা লিখে দেয় 'গাজাকে মুক্ত করো'। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বিকৃত করার অভিযোগ উঠল হলোকস্টের সব থেকে পরিচিত মুখ ইহুদি তনয়া আনা ফ্রাঙ্কের মূর্তি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার আনা ফ্রাঙ্কের মূর্তিটিকে স্প্রে পেন্ট করা হয় এবং তাতে লেখা হয় ‘ফ্রি গাজ়া’, অর্থাৎ গাজ়া মুক্ত করো স্লোগান। মূর্তিটিকে লাল রঙও করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ছবিগুলি ইতিমধ্যেই এক্সে (সাবেক টুইটার) ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনাটি জানাজানির পরে, পুলিশ তদন্ত শুরু করে। পুলিশের অনুমান ঘটনাটি শনিবার মধ্যরাতে হয়েছে। আমস্টারডাম পুলিশের এক জন মুখপাত্র সংবাদ সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, “সন্দেহভাজন কাউকে এখনও শনাক্ত করা যায়নি।”

১৯৪৪ সালে ৪ অগস্ট নাৎসিরা আনার পরিবারকে গ্রেফতার করে। রবিবার তার ৮০ বছর পূর্ণ হয়েছে। এই দিনই মূর্তি বিকৃত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে দ্বিতীয়বার আনার মূর্তি বিকৃত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ আমস্টারডামের একটি পার্কে মূর্তিটি ৯ জুলাই ভাঙচুর করা হয়েছিল, তার পরে পুরসভা কর্তৃপক্ষের তৎপরতায় সেখানে ভিডিয়ো নজরদারি ক্যামেরা বসানো হয়। পাশাপাশি, জায়গাটি সুরক্ষিত করতে রাতে আলোর ব্যবস্থাও করা হয়।

১৯৪৫ সালে ১৬ বছর বয়সি আনা ফ্রাঙ্ক নাৎসি কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে মারা যায়। ১৯৪৭ সালে প্রকাশিত হয়েছিল আনা ফ্রাঙ্কের ‘দ্য ডায়েরি অব আ ইয়ং গার্ল’। প্রথমে মূল জার্মানে, তার কয়েক বছরের মধ্যে অন্যান্য নানা ভাষায়। জার্মান অধিকৃত নেদারল্যান্ডসে নাৎসিদের হাত থেকে বাঁচতে দু’বছর এক গোপন কুঠুরিতে লুকিয়ে ছিল আনা। সঙ্গে পরিবারের বাকি লোকজন। সেই সময়েই ডায়েরি লিখতে শুরু করে বছর তেরোর কিশোরী। দু’বছর পরে নাৎসি সেনার হাতে ধরা পড়ে আনারা। আর তার কয়েক মাস পরেই জার্মানির বের্গেন-বেলসেন কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে, সম্ভবত টাইফয়েড আক্রান্ত হয়ে, মারা যায় মেয়েটি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement