ছবি রয়টার্স।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র ‘কোভ্যাক্স’ প্রকল্পে আজ প্রথম ২ লক্ষ ৬৪ হাজার ডোজ় অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজ়েনেকা কোভিড-ভ্যাকসিন এসে পৌঁছল শ্রীলঙ্কায়। আর্থিক সঙ্গতির বিচারে নয়, সার্বিক ভাবে যাতে বিশ্বের প্রতিটি দেশে প্রতিষেধক পৌঁছয়, সে কথা মাথায় রেখে এই বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে হু।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজ়েনেকার ‘কোভিশিল্ড’ তৈরি করেছে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট। ভ্যাকসিন শ্রীলঙ্কায় পাঠানোর বিষয়ে সহযোগিতা করেছে ইউনিসেফ। ‘কোভ্যাক্স’ প্রকল্পে পাঠানো ভ্যাকসিন দেওয়া হবে ষাটোর্ধ্ব, সব চেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের। মে মাসের মধ্যে ১৪ লক্ষ ৪০ হাজার ডোজ় শ্রীলঙ্কায় পাঠানোর চুক্তি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
দেশের শীর্ষস্থানীয় এপিডিমিয়োলজিস্ট সুদথ সামারাওয়েরা জানিয়েছেন, রাজধানী কলম্বো-সহ পশ্চিমের প্রদেশে সংক্রমণ বেশি। সেখান থেকেই টিকাকরণ শুরু হবে।
এর আগেই অবশ্য প্রতিষেধক দেওয়া শুরু হয়েছে শ্রীলঙ্কায়। ভ্যাকসিনের ৫ লক্ষ ডোজ় শ্রীলঙ্কাকে উপহার হিসেবে দিয়েছে ভারত। তাতে করোনা যুদ্ধে প্রথম সারিতে থাকা কর্মীদের টিকা দেওয়া চলছে। টিকাকরণ নিয়ে বারবার জাতীয়তাবাদের অভিযোগ তুলেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা-সহ একাধিক দেশ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার কাছে আবেদন জানিয়েছে, কোভিড-১৯ সংক্রান্ত যে কোনও আবিষ্কারের উপরে ‘ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইট’ তুলে দেওয়া হোক। তাতে আপাত ভাবে রাজি নয় উন্নত দেশগুলি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নকে সম্প্রতি এমনও বলতে শোনা গিয়েছে, আমরা চুক্তি মতো টিকা না-পেলে, এই ব্লকের বাইরে ভ্যাকসিন যেতে দেব না। উল্টো দিকে, রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছে, ইচ্ছুক দেশকে তারা ‘স্পুটনিক ভি’ টিকা পাঠিয়ে সাহায্য করতে চায়। কিন্তু এখন বিভিন্ন দেশের আবেদন মতো রাশিয়া প্রতিষেধক সরবরাহ করতে পারবে কি না, সেটা নিয়েই সংশয় দেখা দিয়েছে। স্লোভাকিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র-সহ ইউরোপ, লাতিন আমেরিকা, আফ্রিকার ছোট দেশগুলি ভ্যাকসিন চেয়ে আবেদন জানিয়েছে খোদ পুতিনকে। ‘ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি’ এখনও স্পুটনিক ভি-কে ছাড়পত্র দেয়নি। তবে রুশ কর্তাদের দাবি, ‘‘ধীরে ধীরে গোটা ইউরোপই জয় করবে স্পুটনিক ভি।’’