মাহিন্দা রাজাপক্ষে। ফাইল চিত্র।
শ্রীলঙ্কার নেট মাধ্যমে খবরটি বেশ জোরালো ভাবেই ছড়িয়েছিল। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষের সমালোচকরা তো বটেই সমর্থকরাও বলছিলেন দেশের সীমানা পেরিয়ে সপরিবারে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। তবে ভারত ‘খবর’টিকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে এ নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই কলম্বোর ভারতীয় দূতাবাস জানিয়েছে, রাজাপক্ষের ভারতে যাওয়া বা আশ্রয় নেওয়ার ব্যাপারে নেট মাধ্যমে যা যা দাবি করা হয়েছে, তার পুরোটাই রটনা। এ ব্যাপারে একটি টুইটে স্পষ্ট করে ভারতীয় হাই কমিশনার জানিয়েছে, ‘এটি একটি ভুয়ো খবর এবং সর্বৈব মিথ্যা। শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে কোনও রকম আশ্রয় দেয়নি ভারত।’
সোমবারই দেশের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন মাহিন্দা। তারপর থেকেই বিরোধীরা তাঁর গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন। সূত্রের খবর, পদত্যাগ করার পরের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার সকালেই তিনি তাঁর দফতর এবং শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ‘টেম্পল ট্রি’ ছেড়ে চলে যান। তার পরই তাঁর সপরিবার দেশ ছাড়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র।
৭৬ বছর বয়স মাহিন্দার। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়ার পর সোমবারই ভারত জানিয়েছিল, ভারত শ্রীলঙ্কার পাশে আছে। শ্রীলঙ্কার গণতন্ত্র রক্ষা করতে সাহায্য করবে ভারতের সরকার। তাই মঙ্গলবার মাহিন্দা সপরিবারে উধাও হওয়ার পর অনেকেই ভেবে নিয়েছিলেন বন্ধু দেশ ভারতেই হয়তো তিনি আশ্রয় নেবেন। নেট মাধ্যমেও দ্রুত খবরটি ছড়িয়ে পড়ে।
পরে ভারতীয় হাই কমিশনারের তরফে একটি টুইটে লেখা হয়, ‘কলম্বোর ভারতীয় দূতাবাস সম্প্রতিই জেনেছে শ্রীলঙ্কার কয়েকজন রাজনীতিক সপরিবার ভারতে আশ্রয় নেওয়ার একটি ভুল খবর নেট মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। খবরটি শুধু ভুয়ো তা-ই নয়, বিষয়টি আগাগোড়া মিথ্যা। ভারত এই রটনাকে অস্বীকার করছে।’