কিম জং উন। ছবি: এপি।
কিম জং উনের দেশ আন্তর্মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর থেকে প্রতিবেশী দুই রাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। কিমকে জবাব দিতে আমেরিকার সঙ্গে যৌথ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার মহড়াও দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। কিন্তু এ বার সেই উত্তপ্ত আবহ ঠান্ডা করতে ব্যতিক্রমী প্রস্তাব দিল সোল। পিয়ংইয়ং-এর সঙ্গে বিরল সামরিক আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে তারা।
দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন নির্বাচিত হওয়ার পরে এই প্রথম এমন আলোচনার প্রস্তাব উঠেছে। ১৯৫০-৫৩-র কোরীয় যুদ্ধে যে সব পরিবার পরস্পরের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল, তাদের পুনর্মিলনের জন্য সম্প্রতি সোলে একটি পৃথক বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছিল রেড ক্রস। সেই সূত্রেই পিয়ংইয়ং-এর সঙ্গে সামরিক আলোচনার কথা উঠে এসেছে। আগামী শুক্রবার দু’দেশের সীমান্তবর্তী গ্রাম পানমানজমে এই আলোচনা করার কথা বলেছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। সেখানেই ১ অগস্ট আলোচনা চালাতে আগ্রহী রেড ক্রস।
যদি সত্যিই দু’দেশের বৈঠক হয়, তা হলে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরের পরে এই প্রথম কথা হবে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার। প্রেসিডেন্ট মুনের আগে যিনি ক্ষমতায় ছিলেন, সেই পার্ক গুয়েন-হে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের শর্ত ছাড়া পিয়ংইয়ং-এর সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী ছিলেন না।
আলোচনা চাইলেও এ বার কি রাজি হবে কিমের দেশ? এখনও কোনও সাড়া মেলেনি উত্তর কোরিয়ার তরফে।