ফের জোড়া বিস্ফোরণের কবলে আফগান রাজধানী। এ বার ঘটনাস্থল পার্লামেন্টের খুব কাছে। বিস্ফোরণের পর পরই দায় স্বীকার করেছে তালিবান জঙ্গিরা। প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৩৮ জন এবং জখম ৭২ জন।
অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের মুখপাত্র সেদিক সিদ্দিকি জানিয়েছেন, প্রথমে হানা দেয় আত্মঘাতী জঙ্গি এবং পরে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন চার পুলিশকর্মী।
দিনের ব্যস্ত সময়ে পার্লামেন্ট চত্বর থেকে রোজকার মতোই কর্মীরা বেরিয়ে আসছিলেন। এই সময়েই প্রথম বিস্ফোরণ ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী এবং বিস্ফোরণে জখম পার্লামেন্টের নিরাপত্তারক্ষী জাবি বলেছেন, ‘‘পার্লামেন্টের বাইরেটা হঠাৎই কেঁপে উঠল। অনেক নিরীহ কর্মচারী প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। পায়ে বোমা বেঁধে এক জঙ্গি উড়িয়ে দেয় নিজেকে।’’ ওই রক্ষীই সংবাদসংস্থাকে বলেছেন, ‘‘দ্বিতীয় বিস্ফোরণ ঘটে গাড়ি বোমা থেকে। পার্লামেন্টের বিপরীতে রাস্তায় পার্ক করা গাড়িটি উড়ে আসে আমার দিকে।’’ তাতেই জখম হন জাবি। তালিবান মুখপাত্র জাবিহুল্লা মুজাহিদ জানিয়েছে, আফগানিস্তানের গোয়েন্দা বাহিনীর গাড়িতে তারা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। সব মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা ৩৮ ছুঁয়েছে। পার্লামেন্টের কাছে যেখানে দু’টি বিস্ফোরণ ঘটেছে, তার আশপাশে আইনসভার বেশ কয়েক জন সদস্যের দফতর রয়েছে। পশ্চিম হেরাট প্রদেশের বাসিন্দা আইনসভার সদস্য গুলাম ফারুক নাজিরি জানান, ওই প্রদেশেরই আর এক সদস্য রহিমা জামি আঘাত পেয়েছেন।
দেশে ঠান্ডা পড়লেও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তালিবান। তাদের সঙ্গে শান্তি আলোচনাও ব্যর্থ হচ্ছে। এ দিন পার্লামেন্টে বিস্ফোরণের আগেও হেলমন্দ প্রদেশে লস্কর গা-এ আর এক জঙ্গি উড়িয়ে দেয় নিজেকে। কন্দহরেওআজ কূটনৈতিক এক বৈঠকের মাঝে বিস্ফোরণ ঘটেছে। নিহত অন্তত ৭ জন। আহত সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর দূত এবং প্রাদেশিক গভর্নর।