shinzo abe

Shinzo Abe death: অর্ধনমিত জাতীয় পতাকা, যৌথ বিবৃতি কোয়াডের

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানেজ়ি শোকপ্রকাশ করে একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০২২ ০৮:৩৫
Share:

শনিবার লালকেল্লা, রাষ্ট্রপতি ভবন এবং সংসদ ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হল। ছবি পিটিআই

জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, নিহত শিনজ়ো আবের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে শনিবার লালকেল্লা, রাষ্ট্রপতি ভবন এবং সংসদ ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হল। এ দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানেজ়ি শোকপ্রকাশ করে একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন।

Advertisement

শুক্রবার পশ্চিম জাপানের নারা শহরে নির্বাচনী প্রচারে বক্তৃতা করার সময় আততায়ীর গুলিতে মৃত্যু হয় আবের। মোদী তার পরেই শনিবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন। ‘মাই ফ্রেন্ড, আবে সান’ নামে একটি ব্লগও লিখেছেন তিনি। জাপানি ভাষায় ‘সান’ কথাটি সম্মানসূচক সম্ভাষণ। মোদী লিখেছেন, ‘‘শিনজ়ো আবের মৃত্যুতে জাপান ও বিশ্ব এক মহান দূরদর্শী ব্যক্তিত্বকে হারাল। আমিও খুব কাছের বন্ধুকে হারালাম।’’

ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকা— এই চার দেশ হাতে হাত মিলিয়ে ২০০৭ সালে গড়ে তোলে কোয়াড। সেই সময়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন আবে। ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরে নৌচলাচল ‘অবাধ ও মুক্ত’ রাখার লক্ষ্যে তিনিই আনুষ্ঠানিক চতুর্পাক্ষিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত আলোচনার ডাক দিয়েছিলেন। দশ বছর ঝুলে থাকার পরে ‘কোয়াড সংলাপ’ ২০১৭ সাল থেকে নতুন করে শুরু হয়। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের ক্রমবর্ধমান একতরফা আগ্রাসনের মুখে এই উদ্যোগেও আবের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। গত মে মাসে কোয়াডের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে জাপানে গিয়ে আবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মোদী।

Advertisement

এ দিন প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে মোদী, বাইডেন ও অ্যান্টনি স্বাধীন ও উন্মুক্ত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ব্যাপারে আবের প্রচেষ্টা স্মরণ করেছেন। তাঁকে উল্লেখ করা হয়েছে জাপানে এবং বাকি তিনটি দেশের প্রত্যেকটির সঙ্গে সে দেশের সম্পর্কে ‘বদল আনা নেতা’ বলে। শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের লক্ষ্যে ‘দ্বিগুণ কাজ করে’ আবের স্মৃতিকে সম্মান জানানোর কথা বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেসের মুখপাত্রের প্রকাশ করা শোকবার্তায় আবেকে ‘বহুপাক্ষিকতার দৃঢ় রক্ষক’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ‘‘শান্তি ও নিরাপত্তার প্রসারে দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়ন ও বিশ্বজনীন জনস্বাস্থ্যের’’ ব্যাপারে আবের অবদান স্মরণ করেন গুতেরেস। বলা হয়েছে, ‘‘বন্দুক-অপরাধের সর্বনিম্ন হারের অন্যতম দেশ জাপানে এই রকম হত্যায় সমাজ গভীর মর্মাহত।’’ এ দিন নিরাপত্তা পরিষদের ১৫টি দেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকের আগে আবের মৃত্যুতে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement