শেখ হাসিনা। ছবি: পিটিআই।
বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনের দিনেই প্রতিবেশী ভারতের প্রশংসা শোনা গেল সে দেশের প্রধানমন্ত্রী তথা আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনার গলায়। ভারতকে ‘বিশ্বস্ত বন্ধু’ বলে অভিহিত করে তিনি বলেন, “আমরা ভীষণ ভাগ্যবান যে ভারত আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধু। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা আমাদের সমর্থন করেছে।” তার পরই পিতা শেখ মুজিবর রহমান-সহ পরিবারের প্রায় সকলের খুন হয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে হাসিনা বলেন, “১৯৭৫ সালে যখন আমরা গোটা পরিবারকে হারালাম, তারা আমাদের আশ্রয় দিয়েছিল। ভারতের সমস্ত মানুষকে আমাদের শুভেচ্ছা।”
স্বাধীন দেশ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করার পর থেকেই ভারত এবং বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ক্রমে আরও উন্নত হয়েছে। সম্প্রতি সীমান্ত সুরক্ষা, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি, বাণিজ্য-সহ একাধিক বিষয়ে হাসিনার সঙ্গে কথা হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। তবে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনেই হাসিনার ভারত-প্রশংসাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কেউ কেউ।
রবিবার গোড়া থেকেই বাংলাদেশে ভোটদানের হার ছিল চোখে পড়ার মতে কম। দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ভোট বয়কটের ডাক দেওয়ায় কার্যত বিরোধীশূন্য অবস্থায় ভোটে জেতার পরিস্থিতিতে রয়েছেন হাসিনা। বিরোধী শিবিরের দাবি ছিল ‘নির্দল এবং নিরপেক্ষ’ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থাপনায় সাধারণ নির্বাচন। কিন্তু সেই দাবি শাসকদল আওয়ামী লীগ খারিজ করে দিয়েছে। ভোটের আগের দিন শনিবার থেকে দেশে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দেয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দল বিএনপি।
বাংলাদেশের নির্বাচনে ‘স্বচ্ছতা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলে সম্প্রতি হাসিনা সরকারের উপর চাপ তৈরির ইঙ্গিত দিয়েছিল আমেরিকা, ব্রিটেনের মতো দেশগুলি। যদিও বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই মনে করছেন, পঞ্চম বারের জন্য বাংলাদেশের রাজনৈতিক কুর্সিতে বসতে চলেছেন হাসিনা। তার আগে ‘পুরনো বন্ধু’ ভারতের সঙ্গে তিনি সম্পর্ক ঝালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলেন বলেই মনে করা হচ্ছে।