শাহবাজ শরিফ। ফাইল চিত্র।
পাকিস্তানের নয়া প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন মিয়াঁ মহম্মদ শাহবাজ শরিফ। সোমবার পাকিস্তান পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি তাঁকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করেছে। শাহবাজের পক্ষে পড়েছে ১৭৪টি ভোট।
শাহবাজের নিজের দল মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)-এর পাশাপাশি পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি), মুত্তাহিদা মজলিস-ই-আমল-সহ বেশ কয়েকটি দলের সমর্থন পেয়েছেন শাহবাজ। তবে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির বৃহত্তম দল, সদ্য-প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ পাকিস্তান (পিটিআই) নয়া প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের উদ্যোগের বিরোধিতা করে সভা থেকে ওয়াকআউট করে।
ইমরান মন্ত্রিসভার সদস্য শাহ মেহমুদ কুরেশি রবিবার পিটিআই-এর তরফে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেশ করেছিলেন। কিন্তু দলের অন্দরে ভাঙন আঁচ করে শেষ পর্যন্ত সভা থেকে ওয়াকআউটের সিদ্ধান্ত নেন ইমরান অনুগামীরা।
পাক সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শনিবার মধ্যরাতে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ভোটাভুটিতে গদিচ্যুত হয়েছিলেন ইমরান। সে সময়ও পিটিআই সদস্যেরা অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করেছিলেন। ইমরানের বিপক্ষে পড়েছিল ১৭৪টি ভোট। প্রসঙ্গত, ৩৪২ আসনের পাক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের ‘জাদু সংখ্যা’ ১৭২। খাতায়-কলমে ইমরানের পিটিআই-এর ১৫৫ জন সদস্য থাকলেও তাঁদের অনেকেই ইতিমধ্যেই বিরোধী শিবিরে নাম লিখিয়েছেন।
পাক প্রধানমন্ত্রী পদে শাহবাজের নাম আলোচনায় এসেছিল পাঁচ বছর আগেই। পানামা কেলেঙ্কারির মামলায় তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে তাঁর দল পিএমএল(এন)-এর অন্দরে শাহবাজকে দায়িত্ব দেওয়ার দাবি উঠেছিল। কিন্তু সে সময় ভাইকে বঞ্চিত করে নওয়াজ বেছে নিয়েছিলেন তাঁর বিশ্বস্ত শাহিদ খকন আব্বাসিকে।
শাহবাজ পঞ্জাব প্রদেশের সব থেকে দীর্ঘ মেয়াদের মুখ্যমন্ত্রীও বটে। তিনি পঞ্জাব প্রদেশে তিন বার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। দাদা নওয়াজ দেশ ছাড়ার পরে পাকিস্তান মুসলিম লিগের প্রেসিডেন্টের আসনে বসেন তিনি। তখন থেকেই ভাইঝি মরিয়াম শরিফকে নিয়ে দল সামলাচ্ছিলেন। ২০১৮ সালের ১৩ অগস্ট তিনি ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সদস্য হন। নির্বাচিত হন বিরোধী দলনেতা পদে।