এই নিয়ে তিন বার। আবারও মার্কিন বিমানবন্দরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হল শাহরুখ খানকে। এ বার লস অ্যাঞ্জেলস বিমানবন্দরে তাঁকে আটকালেন মার্কিন অভিবাসন দফতরের অফিসাররা। ছেলে, মেয়েকে নিয়ে আমেরিকায় ছুটি কাটাতে গিয়েছেন বলিউড বাদশা। সে দেশে পৌঁছেই পড়তে হয় এমন হেনস্থার মুখে। ঘণ্টা দুয়েক আটকে রাখা হয় তাঁকে। পরে অবশ্য মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে এই হেনস্থার জন্য দুঃখপ্রকাশ করা হয়েছে। টুইটে দুঃখপ্রকাশ করেছেন ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতও।
তবে বারবার একই রকম ঘটনায় নিজের বিরক্তি চেপে রাখতে পারেননি শাহরুখ। টুইট করে তিনি লিখেছেন, “আমি নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রয়োজন বুঝি এবং সম্মান করি। তবে মার্কিন অভিবাসন দফতরের এ ভাবে প্রত্যেক বার আটকানোটা সত্যিই জঘন্য।”
কেন আটকানো হল শাহরুখকে! মার্কিন অভিবাসন দফতরের ব্যাখ্যা, ‘নো ফ্লাই’ তালিকায় থাকা অন্য এক শাহরুখ খানের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলাতেই এই ঘটনা ঘটে গেছে। ‘নো ফ্লাই’ তালিকায় থাকে তাঁদেরই নাম যাঁরা আমেরিকায় ব্ল্যাক লিস্টেড, অর্থাত্ যাঁদের আমেরিকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না বা ঢুকলেই ধরা হবে। এই তালিকায় শাহরুখ খান নামে এক দুষ্কৃতীর নাম আছে।আর এই নাম বিভ্রান্তির ফলেই ভারতীয় অভিনেতাকে ভোগান্তি পোহাতে হল। এমনটাই বলছে মার্কিন অভিবাসন দফতর।
শাহরুখের হেনস্থায় টুইটারে দুঃখপ্রকাশ করেছেন আমেরিকার সহকারী বিদেশ সচিব নিশা দেশাই বিসওয়াল। লিখেছেন, “বিমানবন্দরে ভোগান্তির জন্য দুঃখিত। এমনকী মার্কিন কূটনীতিকদেরও এই রকম ঝামেলা পোহাতে হয়।”
টুইটে দুঃখপ্রকাশ করেছেন ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রিচার্ড ভার্মাও। লিখেছেন, “সমস্যার জন্য দুঃখিত। এটা যাতে আর ভবিষ্যতে না ঘটে সেটা আমরা দেখছি। তোমার কাজ লক্ষ লক্ষ মানুষকে অনুপ্রাণিত করে, এবং সেটা আমেরিকাতেও।”
মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তাঁর টুইটের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন শাহরুখ, “কোনও ব্যাপার নয় স্যার। এই প্রোটোকলকে সম্মান করি এবং আমি এই প্রোটোকলের ঊর্ধ্বেও নই। তবে আমার কথা ভাবার জন্য ধন্যবাদ।”
আমেরিকার বিমানবন্দরে শাহরুখের সঙ্গে এমন ঘটনা প্রথম নয়। এর আগে ২০০৯-এর অগস্টে শাহরুখকে আটকানো হয় নিউ জার্সির নেওয়ার্ক লিবার্টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। এর পর ২০১২-র এপ্রিল৷ নীতা অম্বানির সঙ্গে একটি প্রাইভেট জেট-এ নিউ ইয়র্কে পৌঁছনোর পর সেখানকার ইমিগ্রেশন দফতরে প্রায় তিন ঘণ্টা আটকে রাখা হয় বলিউড বাদশাকে। মার্কিন বিমানবন্দরে তাঁর সঙ্গে ঘটা একের পর এক এই ধরনের ঘটনা নিয়ে সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই মজা করে শাহরুখ বলেছিলেন, “যখনই আমার মধ্যে অহংকার বোধ খুব বেড়ে যায়, আমি মার্কিন সফরে চলে যাই। সেখানকার ইমিগ্রেশন দফতর আমার মধ্যে থেকে আমার স্টারডম ছুটিয়ে দেয়।”
আরও পড়ুন...
আমেরিকায় শাহরুখ হেনস্থার নিন্দায় দিল্লি থেকে কলকাতা
মার্কিন বিমানবন্দরে হেনস্থার কবলে পড়েছেন যে ভারতীয় ব্যক্তিত্বরা