ইজ়রায়েলি হামলার পরে এক মহিলার হাহাকার। বুধবার দক্ষিণ গাজ়া ভূখণ্ডের রাফায়। ছবি: রয়টার্স।
প্রবল যুদ্ধ চলছে উত্তর গাজ়া স্ট্রিপে। বেট হানুনে ইজ়রায়েলি সেনার বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরে নেমেছে প্যালেস্টাইনি যোদ্ধারা। উত্তরের জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরেও সংঘর্ষ চলছে। অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। অগুণতি মানুষ আহত। দক্ষিণ গাজ়াতেও হামলা অব্যাহত। দক্ষিণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাফা ও খান ইউনিস। এর মধ্যে ইজরায়েলের নির্দেশেই উত্তর গাজ়া স্ট্রিপ থেকে পালিয়ে মানুষ দক্ষিণের দিকে চলে এসেছে। রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছে, মিশর সীমান্ত ঘেঁষা রাফায় এখন প্রতি বর্গকিলোমিটার এলাকায় ১২ হাজার মানুষের বাস। গিজগিজ করছে মানুষ। রোগ ছড়াচ্ছে।
রাফায় আজ পাঁচ দফায় বিমানহানা চালিয়েছে ইজ়রায়েল। হামলা শুরুর আগে ড্রোনের সাহায্যে আকাশপথে নজরদারি চালায় বাহিনী। তার পর হামলা শুরু করে। একটি ধর্মীয় স্থান সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। পার্শ্ববর্তী এলাকাও ক্ষতিগ্রস্ত। দু’টি বসতবাড়ি ভেঙে পড়েছে। হতাহতের সংখ্যা জানা যায়নি। রাষ্ট্রপুঞ্জের একটি সংস্থা জানিয়েছে, যুদ্ধ-শুরুর দিকে রাফা তুলনায় শান্ত ছিল। বাসিন্দাদের অধিকাংশই ঘরবাড়ি হারিয়ে এই অঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এখানে এসেও প্রাণ হারাচ্ছেন তাঁরা। একটি বিবৃতি দিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের সংস্থাটি জানিয়েছে, ‘‘রাফায় জনঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১২ হাজার ছাড়িয়েছে। চার গুণ হয়ে গিয়েছে জনসংখ্যা। ত্রাণ শিবিরগুলোতে হাজার হাজার মানুষ খাবারের আশায় লাইন দিচ্ছেন। জল নেই, খাবার নেই, মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। পর্যাপ্ত জল ও শৌচাগার না থাকায় অস্বাস্থ্যকর অবস্থা তৈরি হয়েছে।’’ রাষ্ট্রপুঞ্জও জানিয়েছে, এক সময়ে নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়ে সাধারণ মানুষকে রাফায় পাঠাল ইজ়রায়েল, এখন লাগাতার বোমাবর্ষণ চালানো হচ্ছে এখানেও। এ হেন পরিস্থিতিতে গাজ়া স্ট্রিপে রোগ ছড়াচ্ছে হু হু করে। লাগাতার বোমাবর্ষণে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজ়া। শ্বাস নেওয়াই দুষ্কর। এ অবস্থায় শ্বাসজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন লোকজন। এ ছাড়াও, মেনিনজাইটিস, জন্ডিস, পক্সের মতো সংক্রমণ দেখা দিয়েছে।