লিবিয়ায় নৌকা ডুবে নিখোঁজ ১১৫

রাষ্ট্রপুঞ্জের শরণার্থী দফতর জানিয়েছে, এ বছরেম মধ্যে আজই সব চেয়ে ভয়াবহ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটল ভূমধ্যসাগরে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০১৯ ০১:১১
Share:

ছবি: রয়টার্স

পোলি, ২৬ জুলাই: ফের শরণার্থী বোঝাই নৌকাডুবি। ফের লিবিয়ার সৈকত। এ বার অন্তত ১১৫ জন নিখোঁজ। উদ্ধার করা গিয়েছে ১৩৪ জনকে। উদ্ধার হয়েছে এক জনের মৃতদেহ। যদিও প্রাথমিক ভাবে দাবি করা হয়েছিল, ১৫০ জন নিখোঁজ। আর উদ্ধার করা হয়েছে ১৫০ জনকে। পরে অবশ্য জানা যায়, নিখোঁজ ১১৫ জন।

Advertisement

নৌকাটিতে ছিলেন ২৫০ জন। জেনারেল আয়ুব কাসেম জানিয়েছেন, এঁদের মধ্যে বেশির ভাগই আফ্রিকা ও আরবের বাসিন্দা। লিবিয়া উপকূল থেকে আট কিলোমিটার দূরে ডুবে যায় নৌকাটি। ত্রিপোলির ১২০ কিলোমিটার পূর্বে লিবিয়ার শহর খমস‌্ থেকে রওনা দিয়েছিল নৌকাটি। রওনা দেওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই বিপর্যয়। রাষ্ট্রপুঞ্জের শরণার্থী দফতরের এক আধিকারিকের উদ্বেগ, যাঁদের উদ্ধার করা গিয়েছে, তাঁদের এখন যে সব ডিটেনশন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হবে, সেখানে না আছে যথেষ্ট খাবার, না আছে জল। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। তা ছাড়া, একের পর এক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে সব কেন্দ্রে। এ মাসের গোড়াতেই ত্রিপোলির শহরতলির কাছে একটি ডিটেনশন সেন্টারে বিমান হানায় প্রাণ হারান ৪০ জন শরণার্থী।

রাষ্ট্রপুঞ্জের শরণার্থী দফতর জানিয়েছে, এ বছরেম মধ্যে আজই সব চেয়ে ভয়াবহ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটল ভূমধ্যসাগরে। গত মে মাসে নৌকা ডুবে অন্তত ৫৬ জনের প্রাণ গিয়েছিল তিউনিশিয়ায় উপকূলে। সে বার রক্ষা পেয়েছিলেন ১৬ জন। এ বছরের প্রথম চার মাসে লিবিয়া এবং ইউরোপের মধ্যে মোট ১৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

২০১১ সালে শাসক মুয়াম্মর গদ্দাফি নিহত হওয়ার পর থেকে হিংসাধ্বস্ত লিবিয়া। তাই দেশ ছেড়ে প্রতি বছরই বহু মানুষ পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নিতে চান ইউরোপে। কিন্তু সব সময়ে বহন ক্ষমতার অনেক বেশি মানুষ নৌকাগুলিতে ঝুঁকি নিয়ে উঠে পড়েন। নৌকাগুলির রক্ষণাবেক্ষণও ঠিকঠাক হয় না। তাই একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement