প্রতীকী ছবি।
২০ জনের পরে এ বার ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিল বাংলাদেশের একটি আদালত। আট বছর আগে রাজশাহিতে ছাত্র লীগের এক নেতাকে খুনের মামলায় এক সঙ্গে ৯ জন আসামিকে ফাঁসির শাস্তি দিয়েছে মহানগর দায়রা আদালত। ২০ জনকে দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। অর্থাৎ ২ খুনের শাস্তি ২৯ জনের মৃত্যুদণ্ড!
দু’বছর আগে ঢাকার জাতীয় প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে পিটিয়ে মারার দায়ে বুধবারই ২০ জন ছাত্রকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট। ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও দেওয়া হয় ওই মামলায়। এর ২৪ ঘণ্টা পরেই রাজশাহির একটি খুনের ঘটনায় এক সঙ্গে ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত। ২০১৩-র ২৮ অগস্ট শাসক দলের ছাত্র নেতা শাহিন আলমকে পিটিয়ে মারে এক দল লোক। এর পরে পুলিশ ৩১ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। মামলার শুনানির শেষ হওয়ার পরে বিচারক রায় ঘোষণার যে দিন দেন, এর পরে তা ১৪ দিন পিছোনো হয়। সরকারি কৌঁসুলি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ১৫তম দিনে রায় দিয়ে বিচারক এই খুনকে পূর্বপরিকল্পিত বলে বর্ণনা করেছেন। খুনে সরাসরি যুক্ত বলে চিহ্নিত করে ৯ জনকে ফাঁসিতে মৃত্যুদণ্ড
কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছেন। সহযোগী হিসেবে ২০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তদের ১ লক্ষ এবং যাবজ্জীবন পাওয়াদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করেছেন। কিন্তু ২ খুনের শাস্তিতে ২৯ জনের মৃত্যুদণ্ড— এই বিচার নিয়ে ধন্দে মানুষ। এই অবসরে ফের প্রশ্ন উঠেছে, মৃত্যুদণ্ড কি আদৌ অপরাধ কমাতে পারে?