মার্কিন বিদেশসচিব রেক্স টিলারসন। ছবি: সংগৃহীত
এক সপ্তাহের মাথায় অবশেষে মুখ খুলল আমেরিকা। গত রবিবার ৭৫৫ জন মার্কিন কূটনীতিককে রাশিয়া ছেড়ে চলে যেতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছিল রাশিয়া সরকার। বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি ট্রাম্প প্রশাসন। অনেকেই বলেছিলেন, রাশিয়াকে কী জবাব দেওয়া হবে তা নিয়ে ধন্দে রয়েছেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আজ অবশ্য মার্কিন বিদেশসচিব রেক্স টিলারসন স্পষ্ট জানিয়েছেন, আগামী ১ সেপ্টেম্বর জবাব দেবেন তাঁরা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ নিয়ে বছরের গোড়া থেকেই জলঘোলা হয়ে আসছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যমের অভিযোগ, হিলারি ক্লিন্টনকে হারিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের গদিতে বসানোর পিছনে বড় রকমের ভূমিকা নিয়েছিল ভ্লাদিমির পুতিনের সরকার। মার্কিন কংগ্রেসে তা নিয়ে তদন্তও চলছে। তারাই সম্প্রতি রাশিয়ার বিরুদ্ধে কড়া নিষেধাজ্ঞা জারির পক্ষে সওয়াল করেছিল। তাতে সইও করেন ট্রাম্প। তার কিছু দিনের মধ্যেই ৭৫৫ জন মার্কিন কূটনীতিককে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয় মস্কো।
এর পরে গত কাল ফিলিপিন্সে মুখোমুখি হন মার্কিন বিদেশসচিব টিলারসন এবং রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। নিষেধাজ্ঞা আর তার পাল্টা কূটনীতিক কাণ্ডের পর এটাই ছিল তাঁদের প্রথম সাক্ষাৎ। সেই বৈঠক অবশ্য সদর্থক হয়েছে বলেই দাবি করেছে দু’পক্ষ। টিলারসনের দাবি, সিরিয়া, ইউক্রেন, উত্তর কোরিয়ায় মতো দেশগুলির রাজনৈতিক সমস্যা নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে কথা বলতে রাজি হয়েছে মস্কো। মার্কিন বিদেশ সচিব আজ বলেছেন ‘‘একটা মাত্র বিষয় নিয়ে দু’পক্ষের আলোচনার রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়াটা খুব একটা কাজের কথা নয়।’’ সম্প্রতি সিরিয়ার একটা অংশে সংঘর্ষ-বিরতি চালুর ক্ষেত্রে রাশিয়া-আমেরিকা একজোট হয়েছিল। আজ টিলারসন সেই প্রসঙ্গই মনে করিয়ে দিতে চেয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
কালকের বৈঠকের পরে রুশ বিদেশমন্ত্রীও বলেছেন, ‘‘আমাদের মনে হয় ওরা আলোচনার রাস্তা খোলা রাখতেই চায়।’’