ইরানের সামরিক কমান্ডার কাসেম সোলেমানির উপর হামলার সময়ের বর্ণনা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র
একটি দেশের সেনা প্রধানকে হত্যা করা নিয়ে নানা মহলে নিন্দা হয়েছে। কাসেম সোলেমানির উপর ড্রোন হামলা নিয়ে খাস মার্কিন মুলুকেও আক্রমণের মুখে পড়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই ঘটনার প্রায় দু’সপ্তাহ পর সেই হত্যার কারণ ব্যাখ্যা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। হামলার সাফাই দিতে গিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘সোলেমানি আমেরিকার বিরুদ্ধে বাজে কথা বলছিলেন।’’ হামলার সময় তিনি নিজে মনিটরিং করছিলেন বলে জানিয়ে সোলেমানির মৃত্যুর সময়ের বর্ণনাও দিয়েছেন ট্রাম্প।
এক দিন আগেই ইরানের শীর্ষ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেইকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘‘সমঝে কথা বলুন।’’ অর্থাৎ আমেরিকার বিরুদ্ধে খারাপ কথা বলা যাবে না। সোলেমানির বিরুদ্ধেও কার্যত একই অভিযোগ আনলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ফ্লোরিডায় রিপাবলিকানদের একটি অনুষ্ঠানে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারের জন্য অর্থ সংগ্রহের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে নিজেই উত্থাপন করেন সোলেমানির হত্যার প্রসঙ্গ। বললেন, ‘‘আমাদের দেশের উদ্দেশে কুকথা বলছিলেন সোলেমানি। আর কত সহ্য করব।’’
৩ জানুয়ারি ইরাকের বাগদাদের কাছে মার্কিন ড্রোন থেকে ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে হত্যা করা হয়েছিল ইরানের সামরিক কমান্ডার কাসেম সোলেমানিকে। ট্রাম্প এ দিন জানিয়েছেন, ওই দিন হোয়াইট হাউসে বসে গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছিলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথায়, ‘‘সেনা অফিসাররা আমাকে বললেন, ওরা একসঙ্গে আছে স্যর। ওদের হাতে আর ২ মিনিট ১১ সেকেন্ড সময় আছে। বাঁচার জন্য ২ মিনিট ১১ সেকেন্ড। ওরা সাঁজোয়া গাড়িতে আছে। বাঁচার জন্য আর এক মিনিট বাকি আছে, ৩০ সেকেন্ড, ১০, ৯, ৮...।’’
আরও পড়ুন: সমঝে কথা বলুন, খামেনেইকে হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
ট্রাম্প বর্ণনা দিতে থাকেন, ‘‘তারপর হঠাৎ বুম...। ওরা শেষ স্যর। সংযোগ কাটছি। সেই লোকটা (সোলেমানি) কোথায় গেল?’’ ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে যেন প্রায় সেই সময়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন। বর্তমানে ফিরে তিনি বলেন, সেনা অফিসারদের কাছ থেকে ওই দিন সেটাই শেষ কথা শুনতে পেয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: এ বার ‘রয়্যাল হাইনেস’ খেতাব ছাড়তেও সম্মত হলেন হ্যারি-মেগান
সোলেমানির হত্যার পর থেকেই মার্কিন সংসদের বেশ কিছু সদস্য এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কিন্তু কেন সোলেমানিকে এ ভাবে হত্যা করা হল, তার কোনও ব্যাখ্যা হোয়াইট হাউস এ পর্যন্ত দেয়নি। ট্রাম্পও সেই অর্থে এত পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা দেননি। কারণও জানাননি। তাই সে অর্থে এই প্রথম সোলেমানির হত্যার সময়কার ঘটনা সামনে এল।