ফাইল চিত্র
ঠিক যেন আমেরিকায় ৯/১১-র হামলার দৃশ্য। টুইটারে পোস্ট হয়েছিল তেমনই ছবি। যাতে দেখা গিয়েছিল, এয়ার কানাডার একটি বিমান ধেয়ে যাচ্ছে টরন্টোর সিএন টাওয়ারের দিকে। ছবির উপরে লেখা, ‘‘আরবিতে যেমন বলা হয়, ‘যে বিষয়ে কারও মাথাব্যথা থাকা উচিত নয়, সে যদি তাতেই নাক গলায়, তা হলে আখেরে ঝামেলায় পড়ে সে-ই’।’’ এর সঙ্গেই রয়েছে, কানাডার প্রতি অভিযোগ, ‘‘সেখানেই নাক গলায়, যেখানে তার থাকার কথা নয়।’’
সৌদি যুবকদের একটি প্রতিষ্ঠান ‘ইনফোগ্রাফিক কেএসএ’। ওই নামেই টুইটারের অ্যাকাউন্ট থেকে ছবিটি পোস্ট করা হয়েছিল। তাদের ওয়েবসাইটে লেখা রয়েছে, এই গোষ্ঠী প্রযুক্তিতে আগ্রহী যুবকদের নিয়ে তৈরি হয়েছে। টুইটারে এই গোষ্ঠীর ফলোয়ার সাড়ে তিন লক্ষেরও বেশি। ইনস্টাগ্রামে ৮৮ হাজার লোক তাদের ফলো করে। সাধারণত সৌদি সরকারের সমর্থনে নানা বার্তা পোস্ট করে এই গোষ্ঠী।
কানাডাকে বিঁধে এই গোষ্ঠীর দেওয়া সাম্প্রতিক ছবি নিয়ে হইচই শুরু হতেই সেটি মুছে দেয় ওই গোষ্ঠী। পরে তারা ক্ষমাও চেয়েছে। উল্লেখ্য, ৯/১১-র হামলায় ১৯ ছিনতাইকারীর মধ্যে ১৫ জন ছিল সৌদির নাগরিক।
বিতর্কের টুইট। ছবি- সংগৃহীত
টুইটারে ছবি পোস্টের আগে থেকেই অবশ্য কূটনৈতিক তরজা চলছে কানাডা এবং সৌদি আরবের মধ্যে। গত রবিবার সৌদি সরকার কানাডার রাষ্ট্রদূতকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলেছেন। কানাডার সৌদি দূতকেও ফিরে আসতে বলা হয়েছে। সৌদি আরবে বিশিষ্ট জন এবং নারী অধিকারের আন্দোলনকারীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। তাই নিয়ে কানাডার সংবাদমাধ্যম টুইটে উদ্বেগ জানিয়েছিল। সওয়াল করেছিল বন্দিদের মুক্তির জন্য। তাতেই নড়ে বসে সৌদি প্রশাসন। রবিবার তারা জানায়, কানাডার সঙ্গে বাণিজ্যিক আদানপ্রদানও বন্ধ করে দেবে তারা। ‘ইনফোগ্রাফিক কেএসএ’-এর টুইট নিয়ে সৌদি সরকার জানিয়েছে, এ নিয়ে তদন্ত হবে। তদন্ত শেষ না-হওয়া পর্যন্ত ওই অ্যাকাউন্ট বন্ধ থাকবে।