মহম্মদ বিন সলমন। ছবি: সংগৃহীত।
ভাইপোকে সরিয়ে নিজের ছেলেকে ক্রাউন প্রিন্স করলেন সৌদি রাজা সলমন। পরবর্তী রাজা হওয়ার অন্যতম দাবিদার মহম্মদ বিন নায়েফ বিন আবদুলাজিজের থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে ৩১ বছর বয়সী সলমনকে যুবরাজ বা ক্রাউন প্রিন্স পদে অভিষিক্ত করলেন রাজা। রাজ্যের প্রতিরক্ষা দফতরের দায়িত্ব তো ছিলই, এ বার ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টারের পদও সঁপে দেওয়া হল যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন বিন আবদুলাজিজকে।
সৌদি আরবের বর্তমান জনসংখ্যার অর্ধেকই তরুণ প্রজন্ম। তাই ৫৭ বছরের যুবরাজের বদলে ৩১ বছর বয়সী তরুণের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়ার পিছনে এটাই কারণ বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। মহম্মদ বিন নায়েফ বিন আবদুলাজিজও ক্ষমতায় এসেছিলেন হঠাৎই। আচমকা। তৎকালীন যুবরাজ মুক্রিনকে সরিয়ে ২০১৫ সালের ২৯ এপ্রিল সৌদি রাজা সলমন তাঁকে মনোনীত করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দায়িত্বের পাশাপাশি দেশের প্রথম ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টারের পদও দেওয়া হয় তাঁকে। নায়েফ দেশের অভ্যন্তরীন নিরাপত্তা বিষয়ক কাউন্সিলেরও চেয়ারম্যান হন। সন্ত্রাসবাদ দমনে, বিশেষত আল কায়দা বিরোধী আগ্রাসী মনোভাবের জন্য আমেরিকা-সহ পশ্চিমের দেশগুলির কাছে প্রশংসিত হন তিনি। ওয়াশিংটনের কাছেও পরবর্তী সৌদি রাজা হিসেবে নায়েফই ছিলেন প্রত্যাশিত নাম। তাই এই আচমকা ক্ষমতা হস্তান্তর সত্যিই চমকের বলেই মনে করছেন দেশের এক অংশ।
আরও পড়ুন: ১৮০ দেশে পালিত হচ্ছে বিশ্ব যোগ দিবস
২০১৫ সালে রাজা হিসেবে সলমনের ক্ষমতা গ্রহণের আগে মহম্মদ বিন সলমন সৌদি আরবের বাইরে তেমন পরিচিত ছিলেন না। সলমন ক্ষমতায় আসার পরেই মহম্মদের ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়তে থাকে। রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে তরুণ মহম্মদ বিন সলমনই এখন জনপ্রিয় মুখ। সৌদি আরবের সত্যিকার ক্ষমতা মহম্মদের কাছে রয়েছে বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।
প্রতিরক্ষার দায়িত্বে থাকার সময় গত মার্চে হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সৌজন্যমূলক সাক্ষাত্কার করেন মহম্মদ। দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য তাঁদের মধ্যে কথাবার্তাও হয় বলে সূত্রের খবর। মহম্মদের কথায়, ‘‘আমেরিকার সাহায্য না থাকলে, উত্তর কোরিয়ার মতোই আমরা শেষ হয়ে যেতাম।’’ দেশের প্রত্যেক মানুষের সমানাধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্যও আওয়াজ তুলেছিলেন তিনি।