এখন অনেকটাই সুস্থ রয়েছেন রুশদি, খবর পেয়ে খুশি নন হাদি। ফাইল চিত্র ।
সলমন রুশদি ছুরির আঘাতের পর প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন শুনে তিনি বিস্মিত। সংবাদ মাধ্যম নিউ ইয়র্ক পোস্টের সঙ্গে কথা বলার সময় এমনটাই জানালেন রুশদিকে হামলাকারী যুবক হাদি মাতার। নিউ ইয়র্ক পোস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হাদি বলেন, ‘‘আমি রুশদিকে পছন্দ করি না। আমি মনে করি না যে, তিনি খুব একটা ভাল মানুষ। উনি বিশ্বাসে আঘাত করেছেন।’’
হাদি আরও জানান, রুশদি শতকা ইন্সটিটিউশনে আসছেন, এই খবর পাওয়া মাত্রই তিনিও সেখানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নন।
২৪ বছর বয়সি মাতার ইরানের তৎকালীন সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা খোমেইনির দীক্ষায় দীক্ষিত। রুশদি বিতর্কিত বই ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ লেখার পর খোমেইনিই প্রথম তাঁর বিরুদ্ধে ‘ফতোয়া’ জারি করেন। খোমেইনি মারা গেলেও তাঁর সেই নির্দেশকে পরিণতি দিতেও রুশদির উপর হামলা চালায় মাতার। যদিও ইরান সরকার এই হামলার দায় নিতে অস্বীকার করেছে।
প্রসঙ্গত, ১৩ অগস্ট নিউ ইয়র্ক থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে শতকা ইন্সটিটিউশনের মঞ্চে বক্তৃতা করতে ওঠার সময় ছুরি নিয়ে রুশদির উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন মাতার। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ১৫ থেকে ২০ বার ছুরির কোপ বসানো হয় লেখকের ঘাড়ে-বুকে-পেটে। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এর পর পুলিশে খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে এসে পুলিশের তরফে রুশদিকে হেলিকপ্টারে করে তড়িঘড়ি হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। এর পরই গ্রেফতার করা হয় হাদিকে। আপাতত পুলিশ হেফাজতেই রয়েছেন তিনি।