জি-২০ ভুক্ত দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ছবি: পিটিআই।
আমেরিকার মাটিতে আজ থেকে দৌত্য শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে তার আগে গত কয়েক দিন ধরেই নিউ ইয়র্কে ধারাবাহিক ভাবে আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন দেশের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বৃহস্পতিবারই যেমন জি-২০ ভুক্ত দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে কাবুল প্রশ্নে সরব হলেন তিনি।
এক দিকে, আফগানিস্তানের মাটিকে ব্যবহার করে যেন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির বাড়-বাড়ন্ত না ঘটে, সে ব্যাপারে সব দেশকে সতর্ক করেছেন। অন্য দিকে, আফগানদের মানবিক চাহিদাগুলি মেটানোর বিষয়ে পাশে থাকতে চেয়ে রাস্তা খোঁজার চেষ্টাও করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। বৈঠকের পরে জয়শঙ্করের টুইট, ‘‘জি-২০ ভুক্ত দেশগুলির বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের আফগানিস্তান-বৈঠকে যোগ দিলাম। আন্তর্জাতিক মহলের কর্তব্য, সে দেশের মানুষের মানবিক চাহিদার পাশে দাঁড়ানো। সেই সহায়তায় যেন কোনও বাধা না আসে, তা দেখা।’’
পাশাপাশি মন্ত্রী জানান, ‘‘আফগানদের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্ব ইতিহাসের পাতায় রয়েছে।’’ সে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনে গৃহীত সাম্প্রতিক ২৫৯৩ প্রস্তাবটি আমাদের সকলের দিশা নির্দেশকের কাজ করবে।’’ প্রসঙ্গত ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের মাটিকে ব্যবহার করে যেন সন্ত্রাসবাদ না ছড়ানো হয়। রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সম্মেলনের পার্শ্ব বৈঠকে জয়শঙ্কর আফগানিস্তানের উন্নয়ন সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন জার্মান বিদেশমন্ত্রী হেইকো মাসের সঙ্গে। পরে ভারত, জাপান, জার্মানি, এবং ব্রাজিলের (জি-৪) বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকেও উঠে এসেছে কাবুল প্রসঙ্গ।