India US Relation

জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক আমেরিকার বিদেশসচিবের, লোহিত সাগরের সমস্যা মেটাতে কী করবে দুই দেশ?

মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে যোগ দিতে জার্মানি গিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেখানেই শুক্রবার আমেরিকার বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৪:৫৩
Share:
S Jaishankar and US Secretary Of State Antony Blinken discuss over red sea

জার্মানিতে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং আমেরিকার বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। ছবি: এক্স।

ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক হল আমেরিকার বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের। জার্মানিতে ওই বৈঠক হয়েছে। লোহিত সাগরে উদ্ভুত সমস্যা নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে খবর।

Advertisement

মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে যোগ দিতে জার্মানি গিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। শুক্রবার ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়েছে। আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বৈঠকের কথা জানান। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, লোহিত সাগরীয় এলাকায় শান্তি বজায় রাখা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আমেরিকা এবং ভারতের ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, বৈঠকে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই দুই দেশ সঠিক পদক্ষেপ করলে ওই এলাকার অর্থনৈতিক স্থিতাবস্থা বজায় থাকবে।

লোহিত সাগরের সমস্যার পাশাপাশি পশ্চিম এশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতি, শান্তি স্থাপন এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা নিয়েও ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে জয়শঙ্করের কথা হয়েছে।

Advertisement

গত ৭ অক্টোবর থেকে যুদ্ধ শুরু হয়েছে পশ্চিম এশিয়ায়। ইজ়রায়েল এবং প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে সেই যুদ্ধ থামার কোনও লক্ষণ নেই। যুদ্ধে প্রাথমিক ভাবে ইজ়রায়েলকে সমর্থন করেছিল আমেরিকা। তবে গত কয়েক মাসে লাগাতার ক্ষয়ক্ষতির পর আমেরিকাও পশ্চিম এশিয়ায় শান্তি বজায় রাখার কথা বলেছে। ভারত প্রথম থেকেই এ বিষয়ে নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছে।

যুদ্ধে হামাসের পক্ষ নিয়েছে ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথি। তারাই গত নভেম্বর মাস থেকে লোহিত সাগরীয় এলাকাকে উত্তপ্ত রেখেছে। ওই সাগর দিয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য জাহাজ যাতায়াত করে। অভিযোগ, সে সব জাহাজে হামলা চালাচ্ছে হুথিরা। ওই পথ দিয়ে বাণিজ্য ক্রমে অসম্ভব হয়ে উঠছে। হুথিদের যদিও দাবি, তারা ইজ়রায়েলের জাহাজ লক্ষ্য করেই আক্রমণ করছে। লোহিত সাগরে শান্তি ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেন-সহ একাধিক দেশ। ভারতের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গেও সে বিষয়েই কথা বললেন ব্লিঙ্কেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement