আনাস্তাশিয়া ইয়েসচেঙ্কো এবং ওলোগ সোকোলভ— ফাইল চিত্র।
প্রেমিকাকে খুনের দায়ে ইতিহাসবিদ ওলোগ সোকোলভকে সাড়ে ১২ বছরের জেলের সাজা দিল রাশিয়ার আদালত। শুক্রবার সেন্ট পিটার্সবার্গ আদালতের বিচারক ইউলিয়া ম্যাক্সিমেনকো ফ্রান্সের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান লিজিয়ঁ দ্য’নর প্রাপ্ত ৬৪ বছরের ঐতিহাসিকের সাজা ঘোষণা করেন।
প্রায় এক দশকের পুরনো এই মামলায় সোকোলভের বিরুদ্ধে তাঁর প্রেমিকা তথা ছাত্রী আনাস্তাশিয়া ইয়েসচেঙ্কোকে খুন করে হাত কেটে ফেলার অভিযোগ রয়েছে। ২০১০ সালের নভেম্বরে সেন্ট পিটার্সবার্গের বরফ জমা মাইকা নদীর উপরে মত্ত অবস্থায় সোকোলভকে উদ্ধার করা হয়েছিল। সে সময় তাঁর কাছে থাকা ব্যাগে এক মহিলার কাটা হাত উদ্ধার হয়। এক পরেই ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
সোকোলভ প্রথমে পুলিশকে জানিয়েছিলেন, মত্ত অবস্থায় তিনি নদীতে পড়ে গিয়েছিলেন। সে সময় ব্যাগটি কোনও ভাবে তাঁর হাতে চলে আসে। কিন্তু তদন্তে দেখা যায়, ওই কাটা হাত সেন্ট পিটার্সবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকেরই ২৪ বছরের ছাত্রী তথা প্রেমিকার। শেষ পর্যন্ত জেরার মুখে স্বীকার করে নেন, বচসার সময় মুহূর্তের উত্তেজনায় ইয়েসচেঙ্কোকে খুনের কথা। সোকোলভ জানান, খুনের পর প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে তিনি ইলেকট্রিক করাত দিয়ে প্রেমিকার হাত-পা-মাথা কেটে ফেলেছিলেন। তার পর ব্যাগে ভরে সেগুলি নদীতে ফেলতে গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: দেশের স্থপতিদের আদর্শ মেনেই চলছি, মোদীকে জবাব মমতার
চলতি বছরের মামলার শুনানি পর্ব শেষ হওয়ার কথা থাকলেও করোনা অতিমারি পরিস্থিতিতে তা জুন মাস পর্যন্ত পিছিয়ে যায়। কয়েক মাস আসে সোকোলভের আইনজীবী আলেকজন্ডার পচুয়েভ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘‘আমার মক্কেল অপরাধ কবুল করেছেন এবং পুলিশকে তদন্তে সহযোগিতা করছেন।’’ ইয়েসচেঙ্কোর পরিবার নিযুক্ত আইনজীবী আলেকজন্দ্রা বকশায়েভ শনিবার বলেন, ‘‘আমরা ১৫ বছরের সাজা চেয়েছিলাম। তবে অপরাধী শাস্তি পেলেও ইয়েসচেঙ্কো তো আর ফিরে আসবেন না।’’
আরও পড়ুন: বাড়ি বিতর্কে চিঠি লিখে অমর্ত্যের পাশে দাঁড়ালেন ‘বোন এবং বন্ধু’ মমতা
প্রসঙ্গত, নেপোলিয়ন যুগের ফরাসি ইতিহাস নিয়ে গবেষণার জন্য ২০০৩ সালে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান লিজিয়ঁ দ্য’নর দেওয়া হয়েছিল সোকোলভকে