আমেরিকার চাপেই সিরিয়া থেকে সেনা সরিয়ে নিচ্ছে রাশিয়া

কার্যত আমেরিকার চাপেই সিরিয়া থেকে সেনা সরিয়ে নিচ্ছে রাশিয়া! সোমবার দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে এক জরুরি বৈঠকের পরে ওই সেনা প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি মঙ্গলবার থেকেই ওই সেনা সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে বলেছেন। জানিয়েছেন, সিরিয়ায় মোতায়েন রুশ সেনাবাহিনীর পুরোটাই আগামী এক মাসের মধ্যে ধাপে ধাপে প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৬ ১২:৩৩
Share:

সিরিয়ায় মোতায়েন রুশ সেনা।

কার্যত আমেরিকার চাপেই সিরিয়া থেকে সেনা সরিয়ে নিচ্ছে রাশিয়া!

Advertisement

সোমবার দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে এক জরুরি বৈঠকের পরে ওই সেনা প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি মঙ্গলবার থেকেই ওই সেনা সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে বলেছেন। জানিয়েছেন, সিরিয়ায় মোতায়েন রুশ সেনাবাহিনীর পুরোটাই আগামী এক মাসের মধ্যে ধাপে ধাপে প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ জারি করার আগে সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে টেলিফোনে আলোচনা সেরে নেন রুশ প্রেসিডেন্ট।

সিরিয়ায় প্রথম রুশ সেনাবাহিনী ঢুকেছিল গত সেপ্টেম্বরে। তার আগে হঠাৎই ক্রেমলিনে গিয়ে রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছিলেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট। ওই সময় রাশিয়ার তরফে জানানো হয়েছিল, সিরিয়ায় ঘাঁটি গেড়ে থাকা ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের নিকেশ করতেই পাঠানো হয়েছে রুশ সেনা। তার পর গত ৬ মাসে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার আল-আসাদ সরকারের বিরোধীদের ওপর অত্যাচার-উৎপীড়ন আরও বেড়ে যায়। আক্ষরিক অর্থেই, রুশ সেনাবাহিনী হয়ে দাঁড়ায় প্রেসিডেন্ট আসাদের ‘রক্ষাকর্তা’!

Advertisement

আরও পড়ুন- পাকিস্তানে ৩০০০ সেনা পাঠাচ্ছে চিন, তীব্র আপত্তি জানাল ভারত

কূটনেতিক সূত্রের খবর, সিরিয়া থেকে রুশ সেনা সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার মূল লক্ষ্যটা হল, সে দেশে দ্রুত শান্তি ফিরিয়ে আনা। জেনিভায় ওই শান্তি আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য প্রেসিডেন্ট আসাদের বিরোধীরা রুশ সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিলেন। তবে যত দিন পর্যন্ত মোতায়েন রুশ সেনাবাহিনীর পুরোটাই সরিয়ে নিয়ে না যাওয়া হচ্ছে, তত দিন আসাদ-বিরোধীরা শান্তি আলোচনায় বসার ব্যাপারে কোনও ইতিবাচক সাড়া দেবেন না বলে জানিয়েছিলেন। আসাদ-বিরোধীরা এ ব্যাপারে আরও সক্রিয় হয়ে ওঠার জন্য আমেরিকার ওপর চাপ বাড়াতে থাকে। তাঁরা চাপ বাড়াতে থাকেন রাষ্ট্রপুঞ্জের ওপরেও।

গত পাঁচ বছরে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধে আড়াই লক্ষেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আর মঙ্গলবারই সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ পা দিচ্ছে ষষ্ঠ বছরে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement