যুদ্ধক্ষেত্রে জেলেনস্কি। ফাইল চিত্র।
ইউরোপের শক্তিধর দেশগুলি তাদের সমর্থনে। জার্মানি, ইটালি, ব্রিটেন, ফ্রান্স, সকলেই জানিয়ে দিয়েছে, তারা চায় অবিলম্বে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এ যোগ দেওয়ার অনুমতি পাক ইউক্রেন। আর মাত্র ক’টা দিন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষা। এ অবস্থায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির আশঙ্কা, বিধ্বংসী হামলা চালাতে পারে রাশিয়া, যা হয়তো কল্পনাতীত।
যুদ্ধের শুরু থেকেই মস্কো হুমকি দিয়েছে, যে দেশ কিভের পাশে দাঁড়াবে, তাদের চরম দাম দিতে হবে। গোড়ায় ইইউ-ও জানিয়েছিল, এখনই ইউক্রেনকে গোষ্ঠীভুক্ত করা ঠিক হবে না। ইইউ-এর একাধিক দেশ কার্যত বিরোধিতা করেছিল। কিন্তু ইউক্রেনে রুশ ধ্বংসলীলা যত বেড়েছে, তত তাদের কাছে এসেছে ইউরোপের একাধিক বড় শক্তি। ফ্রান্স একসময়ে বলেছিল, আগামী এক দশকে ইউক্রেনের ইইউ-অন্তর্ভূক্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সেই দেশের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ সম্প্রতি কিভে গিয়ে জানিয়েছেন, অবিলম্বে ইইউ-এ জায়গা দেওয়া হোক ইউক্রেনকে। সকলের সমর্থনে আপ্লুত জ়েলেনস্কি। কিন্তু একই সঙ্গে আতঙ্কের প্রহর গুণছেন। সংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘এ সপ্তাহে ইউক্রেনের জন্য ভাল কিছু ঘটতে পারে। সমগ্র ইউরোপের স্বার্থে একমাত্র একটা সদর্থক সিদ্ধান্ত।’’ একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘‘আমি নিশ্চিত, আর সেটাই হয়তো স্বাভাবিক, রাশিয়া হামলার গতি আরও বাড়াবে এই সপ্তাহে... আমরাও তৈরি হচ্ছি।’’
নেটো-র প্রধান জেন্স স্টোলেনবার্গ সতর্ক করেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বছরের পর বছর ধরে চলতে পারে। একটি জার্মান দৈনিককে তিনি বলেন, ‘‘ইউক্রেনের সমর্থন জুগিয়ে যাওয়া থামালে চলবে না। তাতে যত দামই দিতে হোক না কেন। শুধু সামরিক সাহায্য নয়, আরও অনেক কিছু।’’
কৃষ্ণসাগরের তীরে অবস্থিত শহর মিকোলিভে জ়েলেনস্কি সেনাবাহিনীর সঙ্গে দেখা করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তিনি বলেন, ‘‘দেশের দক্ষিণাংশ আমরা কাউকে দেব না। যা যা আমাদের থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে, তা-ও ফেরত নেব। সমুদ্র ইউক্রেনেরই থাকবে। নিরাপদ থাকবে।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।