রাশিয়া যুদ্ধ অপরাধ করছে, মন্তব্য জেলেনস্কির। ফাইল ছবি।
ইউক্রেনের বুচা। রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে মরদেহ। স্থানীয়দের দাবি, অন্তত ১৫০টি মৃতদেহকে একসঙ্গে কবর দিতে দেখেছেন তাঁরা। এই ছবি তুলে ধরেই রাশিয়াকে তুলোধোনা করলেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভোলোদেমির জেলেনস্কি। ভিডিয়ো বার্তায় বললেন, ‘‘এ ভাবেই রাশিয়া তার শান্তি-প্রতিশ্রুতি রক্ষা করছে।’’
দিন কয়েক আগে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ৩৪তম দিনে ইস্তানবুলে আলোচনায় বসেছিলেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা। ছিলেন প্রতিবেশী দেশের কূটনীতিকরা। কিন্তু সেই আলোচনার পরও দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন জেলেনস্কি। জানিয়েছিলেন তাঁরা আর প্রতিশ্রুতি নয়, ফলে বিশ্বাসী। এর পর এই গণকবরের উদ্ধারের ঘটনায় রাশিয়াকে আবার একহাত নিয়েছেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট।
ভিডিয়ো বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, ‘‘রাশিয়ার নেতাদের এই ছবি দেখাতে চাই। তাঁরা জানুন কী ভাবে প্রতিশ্রুতি রক্ষা হচ্ছে। এই খুন, এই অত্যাচার, রাস্তায় ছড়িয়ে থাকা মানুষ ও অস্ত্র... এর দায় কার?’’ তাঁর অভিযোগ, সাধারণ নাগরিকদেরও বেঁধে রেখে পিছন থেকে গুলি করে মারা হচ্ছে। এই ‘যুদ্ধ অপরাধ’ বন্ধের জন্য রাশিয়াকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
জেলেনস্কি জানান, ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডে রুশ সেনা দ্বারা সংঘটিত অপরাধের তদন্তের জন্য একটি বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা তৈরি করবেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রক, প্রসিকিউটর জেনারেলের কার্যালয়, পুলিশ এবং গোয়েন্দাদের সমর্থিত সূত্র এই বিচারে সাহায্য করবে। এর লক্ষ্য হল, ইউক্রেন জানবে এবং সারা বিশ্ব বিচার করবে কী ভাবে ইউক্রেনীয়দের উপর যুদ্ধ অপরাধ সংঘটিত হয়েছে এবং হচ্ছে। কতটা অত্যাচারিত হচ্ছেন তাঁরা।
এর পর গণকবর উদ্ধার হওয়া বুচায় বিদ্যুৎ ও জলের সরবারহ ঠিক করা হচ্ছে বলে ওই ভিডিয়ো বার্তায় জানান ইউক্রেন প্রসিডেন্ট। এও জানান, যুদ্ধবিধ্বস্ত ওই অঞ্চলের মানুষের সেবাশুশ্রূষা ব্যবস্থা হচ্ছে। পাশাপাশি, এই গণকবর উদ্ধারের ঘটনার পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও দৃঢ় পদক্ষেপ করার জন্য প্রতিবেশী দেশগুলিকে আবেদন করেছেন জেলেনস্কি।