ইউক্রেনের গেরিলা বাহিনী। —ফাইল চিত্র।
ক্রমশ লক্ষ্যভ্রষ্ট হচ্ছে রাশিয়া। ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরুর সময়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা করেছিলেন, গোটা ইউক্রেনকে ‘মুক্ত’ করবেন তাঁরা। ক্রমে সেই লক্ষ্য থেকে সরে পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেনে নজর দেয় রাশিয়া। এখন উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনের দখলও হাতছাড়া হয়েছে মস্কোর। এ দিন একটি ভিডিয়ো ছড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে দেখা যাচ্ছে, রুশ সীমান্তে দাঁড়িয়ে ইউক্রেনীয় বাহিনীর গর্জন, ‘‘আমরা এখানে মিস্টার প্রেসিডেন্ট!’’
এই মুহূর্তে একমাত্র মারিয়ুপোল-সহ ডনবাস অঞ্চল রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি অবশ্য দবি করেছেন, মারিয়ুপোলও তিনি মুক্ত করবেন। তাঁকে সমর্থন করে ইউরোপ-আমেরিকা ও জি-৭-এর মতো ধনী দেশের গোষ্ঠীও জানিয়েছে, রাশিয়া যদি ইউক্রেনের সীমান্ত বদলের চেষ্টা করে, তারা তা মান্যতা দেবে না।
রুশ সীমান্ত ঘেঁষা সুমি অঞ্চলেও মস্কোর হামলা বন্ধ হয়েছে বলে দাবি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। রুশ আগ্রাসনের শুরু থেকে এই অঞ্চলটি ভয়ানক হামলার শিকার। ইউক্রেনের পশ্চিম অংশ এখন একেবারেই শান্ত। কাল থেকে কিভে ভারতীয় দূতাবাসের কাজও চালু হয়ে যাবে। বহু অঞ্চলেই মানুষ ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। একমাত্র ডনবাস এলাকায় এখনও রয়েছে রুশরা।
ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক আজ একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, যুদ্ধের শুরু থেকে এ পর্যন্ত স্থলবাহিনীর এক-তৃতীয়াংশ হারিয়েছে রাশিয়া। বিপুল ক্ষয়ক্ষতি ও মৃত্যুর বোঝা মস্কোর ঘাড়ে। এমনকি রাশিয়া যা-ই দাবি করুক, পূর্ব ইউক্রেনেও তেমন অগ্রগতি হয়নি ক্রেমলিনের সেনার। ব্রিটিশ মন্ত্রক বলেছে, ‘‘রুশ বাহিনীর শক্তি ক্রমশ কমছে। নৈতিক দিক থেকেও তারা জোর পাচ্ছে না। বাহিনীর কর্মক্ষমতা কমেছে। কিছু ক্ষেত্রে এমন অবস্থা যে কোনও পরিবর্তিত ব্যবস্থা নেই রাশিয়ার হাতে। ফলে রুশ অভিযান ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে।’’ ব্রিটেনের গোয়েন্দা বাহিনীর দাবি, আগামী এক মাসে আরও পিছু হটতে বাধ্য হবে রাশিয়া। এ-ও শোনা গিয়েছে, মারিয়ুপোলের আজ়ভস্টল কারখানার নীচে আটকে থাকা জখম সেনাবাহিনীকে উদ্ধারে ইউক্রেন সরকারে সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে রাশিয়া। যদিও এই পরিস্থিতিতেও রাশিয়ার হামলা অব্যাহত রয়েছে। আজ তারা দাবি করেছে, কৃষ্ণসাগরে স্নেক আইল্যান্ডের কাছে ইউক্রেনের তিনটি যুদ্ধবিমান তারা গুলি করে নামিয়েছে। পূর্ব ইউক্রেনে মস্কোর ক্ষেপণাস্ত্র হানাও জারি রয়েছে।