রুশ ক্ষেপণাস্ত্রে বিধ্বস্ত কিভের বহুতল। ছবি: সংগৃহীত।
প্রতিরোধের মুখে খেরসানে অগ্রগতি থমকে গেলেও দক্ষিণ-পূর্ব ইউক্রেনের আর এক গুরুত্বপূর্ণ শহর মেলিটোপোলের দখল নিল রুশ সেনা। পাশাপাশি শনিবার, যুদ্ধের তৃতীয় দিনেও রাজধানী কিভের বিভিন্ন এলাকা লক্ষ্য করে ধারাবাহিক ভাবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে ভ্লাদিমির পুতিনের বাহিনী। তবে গত দু’দিনের যুদ্ধে ইউক্রেন ফৌজের বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ক্ষয়ক্ষতির জেরে বিমান হামলার সংখ্যা কমেছে।
এরই মধ্যে কিভের বসতি এলাকার একটি বহুতলে আছড়ে পড়ে রুশ হাইপারসনিক (শব্দের চেয়ে দ্রুতগতির) ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। অভিঘাতে ভেঙে পড়ে বহুতলটির একাংশ। ইউক্রনের বিদেশমন্ত্রী দ্রিমিত্র কুলেবা এবং কিভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো ওই বহুতলের ছবি নেটমাধ্যমে পোস্ট করেছেন। তা উস্কে দিয়েছে দু’দশক আগে ৯/১১ টুইন টাওয়ার হামলার স্মৃতি। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বহুতলের মাঝখানে অন্তত পাঁচটি তলা জুড়ে একটি বিশাল গর্ত। নীচের রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ধ্বংসস্তূপ।
ক্লিটসকো লিখেছেন, ‘‘বাড়িতে আঘাত হেনেছে একটি ক্ষেপণাস্ত্র।’ প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে একাধিক বার রুশ সেনার বিরুদ্ধে অসামরিক আবাসিক এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হানার অভিযোগ তুলেছে ইউক্রেন। যদিও মস্কোর তরফে বার বারই তা অস্বীকার করা হয়েছে। অন্য দিকে, কুলেবা নেটমাধ্যমে অভিযোগ করেছেন, রুশ সেনার পাশাপাশি ইউক্রেনে সক্রিয় মস্কো-পন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলি রাজধানী কিভ-সহ বিভিন্ন এলাকায় নাশকতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার রাতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেনের ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে (যাদের একত্রে ডনবাস বলা হয়) স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। সেখান থেকেই প্রথম রুশ সেনার অনুপ্রবেশের খবর মেলে। ওই অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর বড় অংশ রুশ। ডনবাসের মস্কো-পন্থী মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলিও রুশ সেনার সঙ্গেই হামলার অংশ নিচ্ছে বলে আমেরিকা এবং পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমগুলির খবর।
এ ছাড়া ২০১৪ সালে ইউক্রেনের থেকে ছিনিয়ে নেওয়া ক্রাইমিয়া উপদ্বীপ থেকে শুরু হওয়া পুতিন সেনার অভিযানেও সেখানকার রুশ মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলির সক্রিয় ভাবে অংশ নিচ্ছে।