ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের পর থেকেই রাশিয়ার উপর নানা রকম নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে পশ্চিমী দুনিয়া। অনেকে বলছেন,অর্থনৈতিক ভাবে রাশিয়াকে পঙ্গু করে দেওয়ারও জন্যই ওই পদক্ষেপ করা হয়েছে। সামরিক অভিযানের ১০ দিনের মধ্যে রাশিয়ার উপর আড়াই হাজারের বেশি নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে। মোট সাড়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি নিষেধাজ্ঞার খাঁড়া ঝুলছে পুতিনের মাথার উপরে।
ছবি: রয়টার্স।
রাশিয়ার উপর যত আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা চাপছে, নাগরিকদের উপর ততই নিষেধাজ্ঞার বহর বাড়াচ্ছে ভ্লাদিমির পুতিনের সরকার। এ বার সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ককে গ্রাহকদের টাকা তোলার এ ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল। আর এই নিষেধাজ্ঞার ধাক্কায় চরম ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে রুশ নাগরিকদের। আশঙ্কার আবহ তৈরি হয়েছে এই পরিস্থিতিকে ঘিরে।
সংবাদ সংস্থা নেক্সটা-র প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, রাশিয়ার ব্যাঙ্কগুলিকে ইতিমধ্যেই গ্রাহকদের টাকা তোলার ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দিতে বলেছে সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক। গ্রাহকরা বিদেশি অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ হাজার ডলারের বেশি তুলতে পারবেন না। বাকি টাকা তুলতে গেলে রুবলে তুলতে হবে এবং সেটা বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী।
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিদেশি মুদ্রার বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক। এই সময়ের মধ্যে সে দেশের কোনও ব্যাঙ্কই গ্রাহকদের বিদেশি মুদ্রা বিক্রি করতে পারবে না।
সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের এই ঘোষণার পর পরই রাশিয়ার সব এটিএম-এ গ্রাহকদের বিপুল লাইন পড়ে গিয়েছে। কোনও জরুরি অবস্থা জারি হলে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, সরকারের এই সিদ্ধান্তে নাগরিকদের মধ্যে তেমনই একটা আশঙ্কার আবহ তৈরি হয়েছে। ফলে সকলেই এখন এটিমএমমুখী হচ্ছেন।
ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের পর থেকেই রাশিয়ার উপর নানা রকম নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে পশ্চিমী দুনিয়া। অনেকে বলছেন,অর্থনৈতিক ভাবে রাশিয়াকে পঙ্গু করে দেওয়ারও জন্যই ওই পদক্ষেপ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক দুনিয়া থেকে রাশিয়ার ব্যাঙ্কিং পরিষেবাকে বিচ্ছিন্ন করে দিতেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সামরিক অভিযানের ১০ দিনের মধ্যে রাশিয়ার উপর আড়াই হাজারের বেশি নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে। মোট সাড়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি নিষেধাজ্ঞার খাঁড়া ঝুলছে পুতিনের মাথার উপরে। এ রকম পরিস্থিতিতে গ্রাহকদের টাকা তোলার ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়ায় ঘরের ভিতরেই পুতিন আরও চাপের মুখে পড়বেন বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।