রুশ ইউক্রেনীয়দের যুদ্ধের শেষ নেই। ছবি রয়টার্স।
এ বার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে হাসপাতালে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর অভিযোগ জানাল রাশিয়া। মস্কোর দাবি, ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী শনিবার ইচ্ছাকৃত ভাবে পূর্ব ইউক্রেনের রুশ-অধিকৃত এলাকায় একটি হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। এই ঘটনায় ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালের কর্মী ও রোগী-সহ মোট ২৪ জন জখম। ইউক্রেনের তরফে কোনও জবাব মেলেনি।
পূর্ব ইউক্রেনের নোভোইডার শহর বর্তমানে রাশিয়ার দখলে রয়েছে। অভিযোগ, আমেরিকার পাঠানো হিমার রকেট ছোড়া হয়েছে ঘটনাস্থলে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বক্তব্য, ‘‘সক্রিয় রয়েছে এমন একটি চিকিৎসাকেন্দ্রে ইচ্ছাকৃত ভাবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। কিভ প্রশাসনের এই কাজ যুদ্ধাপরাধ ছাড়া আর কী! এই ষড়যন্ত্রের পিছনে যারা রয়েছে, যারা হামলা চালিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করা হবে এবং দোষী সাব্যস্ত করা হবে।’’
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর এক বছর হতে চলল। প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ইউক্রেন। বসতিস্থল থেকে হাসপাতাল, গির্জা, রেল স্টেশন— কিছুই রক্ষা পায়নি মস্কোর বাহিনীর হাত থেকে। বারবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তুলেছে ইউক্রেন। এ বার সেই একই অভিযোগ মস্কোর মুখে।
পূর্ব ইউক্রেনের দখল হওয়া জমি রাশিয়ার হাত থেকে পুনরুদ্ধারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে কিভের বাহিনী। রাশিয়ার ওয়াগনার গ্রুপ সম্প্রতি দাবি করেছিল, তারা পূর্ব ডনেৎস্কের ব্লাহোদাতনে দখল করে নিয়েছে। আজ ইউক্রেনীয় বাহিনী জানিয়েছে, তারা ব্লাহোদাতনেতে হামলা শুরু করেছে। ডনেৎস্কের আরও ১৩টি রুশ সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে তারা। ইউক্রেনকে একটানা অস্ত্র সাহায্য পাঠিয়ে চলেছে ইউরোপ-আমেরিকা। শক্তিশালী ট্যাঙ্ক, ক্ষেপণাস্ত্র, যুদ্ধযান-সহ নানা ধরনের অস্ত্র পাঠাচ্ছে বহু দেশ। কিভ জানিয়েছে, শুধু মস্কোর বাহিনীকে প্রতিহত করা নয়, তাদের জমি থেকে বিতাড়িত করা হবে। ইউক্রেনকে রুশ-দখলমুক্ত করাই লক্ষ্য।