ইউক্রেনের বন্দর শহর বলে পরিচিত মারিয়ুপোল। ছবি: এএফপি।
ইউক্রেনের শহর মারিয়ুপোলকে ‘স্বাধীন’ বলে ঘোষণা করল রাশিয়া। জানাল, ইউক্রেনের এই শহরকে মুক্ত করতে অবশেষে ‘সফল’ হয়েছে তারা। বৃহস্পতিবার সংবাদ সংস্থা এএফপি এই খবর জানিয়েছে। এ নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মন্তব্যও প্রকাশ্যে এনেছে সংবাদ সংস্থাটি। পুতিন বলেছেন, ‘‘মারিয়ুপোলকে ‘সফল ভাবে মুক্ত’ করতে পেরে আমি গর্বিত।’’ ইউক্রেনের এই শহরটিতে একটি ইস্পাত কারখানা রয়েছে। পুতিন তাঁর বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন, তারা যেন ওই ইস্পাত কারখানাটি ধ্বংস করার বদলে দখল করে।
ইউক্রেনের বন্দর শহর বলে পরিচিত মারিয়ুপোল। মারিয়ুপোল দখল হওয়ার ফলে ২০১৪ সাল থেকে ‘স্বাধীন’ ক্রাইমিয়া যাওয়ার পথ সুগম হল রুশ বাহিনী এবং তাদের সহযোগীদের। এই বন্দর শহরটির দখল পেতে প্রায় দু’মাস চেষ্টা চালিয়েছে পুতিন-বাহিনী। একই সঙ্গে দখল রাখতে চেয়ে বুধবার পর্যন্ত প্রাণপণ লড়েছে ইউক্রেনের সেনাও। রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অনেক মানুষের প্রাণ হারিয়েছে। শেষমেশ পুতিন ঘোষণা করলেন, মারিয়ুপোল ‘স্বাধীন’।বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের উপ প্রধানমন্ত্রী ইরিয়ানা ভেরেস্চুক জানিয়েছেন, শহরের বয়স্ক ব্যক্তি, মহিলা এবং শিশুদের উদ্ধার করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের বন্দর শহরের দখল নিয়েছে রুশ সেনারা। তাই ঝুঁকি না নিয়ে দ্রুত মারিয়ুপোলের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
এর আগে রুশ বাহিনীর দখলে আসা ইউক্রেনের শহরগুলিতে রুশ বাহিনীর অত্যাচারের নমুনা দেখেছে গোটা বিশ্ব। মহিলা এবং শিশুদের ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। হাত বেঁধে হত্যা করা হয়েছে সাধারণ নাগরিককে। মারিয়ুপোল থেকে তাই দ্রুত ‘হিউম্যান করিডোর’ তৈরি করে সেখানকার বাসিন্দাদের সরানো হচ্ছে। ইউক্রেনের উপ প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার চারটি বাসে মারিয়ুপোলের বাসিন্দাদের স্থানান্তরিত করার কাজ শুরু হয়েছে। আপাতত বৃহস্পতিবার সারা দিনই মারিয়ুপোলের বাসিন্দাদের উদ্ধার করার কাজ চালাবে ইউক্রেন সরকার।
তবে একই সঙ্গে ইরিয়ানা এ কথাও জানিয়েছেন, মারিয়ুপোলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি এখনও বেশ জটিল। যে কোনও মুহূর্তে পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে।