এক ইউক্রেনীয় মহিলা দাবি করেছেন, স্বামীকে রুশ সেনারা প্রথমে গুলি করে হত্যা করে। তার পর তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে তাঁর চার বছরের ছেলের সামনেই।
রুশ সেনার তাণ্ডবে আতঙ্কিত ইভানকিভ শহরের মেয়েরা। ছবি: রয়টার্স।
রুশ সেনার ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচতে নিজেদের চুল ছেঁটে রূপ বদলে ফেলছেন ইউক্রেনের ইভানকিভ শহরের মেয়েরা। এমনই দাবি করেছেন ওই শহরের মেয়র মারিনা বেসচাস্তনা।
রাজধানী কিভ থেকে প্রায় ৮১ কিলোমিটার দূরে এই শহর। প্রায় এক মাস রুশ সেনাদের কবলে থাকার পর গত ৩০ মার্চ এই শহরকে দখলমুক্ত করে ইউক্রেনীয় সেনারা। কিন্তু রুশ সেনাদের আতঙ্ক যেন এখনও ঘিরে রেখেছে গোটা শহরকে। সেই ছাপ বাসিন্দাদের চোখেমুখে এখনও স্পষ্ট। বিশেষ করে তরুণী, যুবতী এবং কিশোরীদের কাছে ওই এক মাস এখনও দুঃস্বপ্নের মতো!
মেয়র মারিনার দাবি, রুশ সেনারা যে দিন ইভানকিভ দখল করল, সে দিন থেকেই লুঠপাট চালাতে শুরু করে তারা। শুধু লুঠপাটই নয়, শহরবাসীদের মারধর, গুম করে খুন করা এমনকি মেয়েদের ঘর থেকে চুলের মুঠি ধরে টেনে বার করে নিয়ে যেত রুশ সেনারা। তার পর তাঁদের উপর চলত শারীরিক নির্যাতন। শহর দখলমুক্ত হলেও সেই আতঙ্ক কাটেনি কম বয়সি মেয়েদের মধ্যে।
রুশ সেনা ফের ইভানকিভ শহর দখল করলে তাদের ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচতে তাই এ বার অন্য পথ বেছে নিল এই শহরের মেয়েরা। সুন্দরী তরুণী এবং মেয়েরা চুল ছেঁটে ফেলে নিজেদের কম আকর্ষণীয় করে ফেলা শুরু করেছেন। শহরের একটি গ্রামে দুই বোনকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল রুশ সেনার বিরুদ্ধে।
শুধু ইভনকিভই নয়, ইউক্রেনের নানা প্রান্ত থেকে একই অভিযোগ উঠে এসেছে রুশ সেনার বিরুদ্ধে। এক ইউক্রেনীয় মহিলা দাবি করেছেন, স্বামীকে রুশ সেনারা প্রথমে গুলি করে হত্যা করে। তার পর তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে তাঁর চার বছরের ছেলের সামনেই।