(বাঁ দিকে) ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভ্লাদিমির পুতিন। (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
আপাতত ৩০ দিনের জন্য ইউক্রেনের শক্তিকেন্দ্রগুলিতে কোনও রকম আক্রমণ চালাবে না রাশিয়া। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দীর্ঘ ফোনালাপে এমনটাই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। হোয়াইট হাউস থেকে প্রকাশিত তথ্যেও এই নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে।
গত সপ্তাহেই সৌদি আরবে আমেরিকার বিদেশসচিব মার্কো রুবিওর সঙ্গে বৈঠকের পরে জ়েলেনস্কি ৩০ দিনের যু্দ্ধবিরতিতে রাজি হন। তবে জল্পনা ছিল পুতিন আদৌ রাজি হবেন কি না, তা নিয়ে। ট্রাম্পের সঙ্গে চলা দীর্ঘ দু’ঘণ্টার ফোনালাপে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টও ইউক্রেনের শক্তিকেন্দ্রগুলিতে হামলা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে রাশিয়ার দাবি, ইউক্রেনকে বিদেশি সামরিক সাহায্য করা বন্ধ করতে হবে। পুতিনের বক্তব্য, ‘‘রাশিয়ার বোলগোরেয়ায় ইউক্রেনের আক্রমণকে প্রতিহত করা হবে।’’ এই প্রসঙ্গে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যুদ্ধের ফলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়েছে, ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সম্পত্তিরও। দু’দেশেরই উচিত মানবকল্যাণে মনোনিবেশ করা। জানা গিয়েছে, কৃষ্ণ সাগরে যুদ্ধবিরতি ইস্যুতেও বৈঠকের জন্য আগ্রহী আমেরিকা ও ইউক্রেন।
বৈঠকে পুতিন জানিয়েছেন, আগামী ১৯ মার্চ ১৭৫ জন বন্দি প্রত্যার্পণ করা হবে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। রাশিয়ায় চিকিৎসাধীন গুরুতর আহত ইউক্রেনের ২৩ জন সেনাকেও দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দু’দেশের প্রেসিডেন্টের আলোচনায় ইরান- ইজ়রায়েল প্রসঙ্গও উঠে আসে।