ছবি: সংগৃহীত।
সিরিয়ায় ছ’বছরের গৃহযুদ্ধ শেষ করতে যে শান্তিচুক্তির কথা ভাবা হচ্ছে, তাতে আসাদ সরকার-সহ সব পক্ষকেই আপসের কথা ভাবতে হবে, মত রুশ
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের। বৃহস্পতিবার ইরান ও তুরস্কের প্রেসিডেন্টদের নিয়ে রাশিয়ার সোচিতে শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয়েছে। সেখানে এসেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইপ এর্দোগান। গত কয়েক দশকে রুশ কূটনীতিতে এত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক কমই হয়েছে।
যে তিন দেশ এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছে, তারা প্রত্যেকেই সিরিয়া দ্বন্দ্বের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত। তবে তিন দেশ মিলে যে চুক্তিতে যাওয়ার কথা ভাবছে, তাতে রাশিয়া এবং ইরান সমর্থিত সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সরে যাওয়ার সম্ভাবনা। সিরিয়ায় সে ক্ষেত্রে সংবিধান সংশোধন করার কথাও ভাবা হবে।
পুতিন বলেছেন, ‘‘সিরিয়ার জঙ্গিরা বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে। গৃহযুদ্ধ শেষ, এ বার এটাই বাস্তব হতে চলেছে।’’ তিনি পাশাপাশি এটাও বলেন, ‘‘সিরিয়ার মানুষকেই তাঁদের ভাগ্য ঠিক করতে হবে। সংস্কারের প্রক্রিয়া খুব সহজ হবে না। এই সূত্রেই সব পক্ষের আপসের প্রয়োজন।’’ এই সম্মেলন শুরুর আগেই আসাদের সঙ্গে কথা হয়েছিল পুতিনের। তখন আসাদের যথেষ্ট প্রশংসাও করেন তিনি। তা ছাড়া ফোনে সিরিয়া প্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা হয়েছে। এ বার পুতিন চান সিরিয়া পুনর্নির্মাণে তুরস্ক এবং ইরান আলোচনা শুরু করুক। ডিসেম্বরে রাশিয়াতেই সিরিয়া জাতীয় আলোচনা কংগ্রেস শুরু করার কথাও বলেছেন পুতিন। তখনই সিরিয়ার জন্য সংবিধান পুনর্গঠনের কথা ভাবা হবে। কথা হবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়েও। আসাদও সে ভোটে লড়তে পারেন বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।