(বাঁ দিকে) ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিিমর পুতিন। —ফাইল চিত্র।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে রাশিয়া। পড়শি রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের নাম ‘ওয়ান্টেড’ বা ‘সন্ধান চাই’-এর তালিকাতেও তুলে দিয়েছে ভ্লাদিমির পুতিনের সরকার। শনিবার রাশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে উদ্ধৃত করে সে দেশের জাতীয় সংবাদমাধ্যম ‘টাস’ এই কথা জানিয়েছে। এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পরে ইউক্রেনের বিদেশ মন্ত্রকের তির্যক মন্তব্য— ‘‘রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নামেই তো গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল আন্তর্জাতিক অপরাধদমন আদালত। যে দেশের রাষ্ট্রনেতার নামেই এ ধরনের অভিযোগ রয়েছে, সেই দেশের পক্ষ থেকে জারি করা নতুন এই গ্রেফতারি পরোয়ানার কোনও মূল্য নেই।’’
২০২২-এ ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। তখন থেকে ইউক্রেনের একাধিক শীর্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে চলেছে তারা। তালিকায় রয়েছে ইউক্রেন-পন্থী কিছু ইউরোপীয় রাজনৈতিক নেতার নামও। এ ছাড়া সোভিয়েত জমানার সৌধ ধ্বংস করার জন্য এস্টোনিয়ার প্রধানমন্ত্রী কাজা কালাস, লিথুয়েনিয়ার সংস্কৃতিমন্ত্রী এবং লিথুয়েনিয়ার পার্লামেন্টের বেশ কয়েক জন সদস্যের নামেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল রাশিয়া। সেই ‘সন্ধান পেলেই গ্রেফতারের’ তালিকায় নবতম সংযোজন প্রেসিডেন্ট জ়েলেনস্কি।
রাশিয়ার এই পদক্ষেপের কথা প্রকাশিত হওয়ার পরে ইউক্রেনের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতি জারি করে বলা হয়, ‘‘রাশিয়া কতটা মরিয়া হয়ে উঠেছে, তা ফের প্রমাণিত হয়ে গেল। পরিস্থিতি তাদের হাতের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে বুঝতে পেরেই এই সব তালিকা প্রকাশ করছে মস্কো।’’
এ দিকে, ইউক্রেনের পূর্ব ডনেৎস্ক অঞ্চলের ওচেরেটাইন গ্রাম দখল করেছে রুশ বাহিনী। এর ফলে ফেব্রুয়ারি মাসে আভদিভকার নিকটবর্তী একটি শিল্পাঞ্চল দখল করার পরে ইউক্রেনের ভিতরে আরও কিছুটা অগ্রসর হল রাশিয়া। ডনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিকের ওচেরেটাইন গ্রাম আভদিভকার উত্তর-পশ্চিমে ১৫ কিলোমিটার দূরে।