মার্কিন বিদেশ সচিব রেক্স টিলারসন।-ফাইল চিত্র।
যুদ্ধ নয়, আলাপ-আলোচনা চায় আমেরিকা।
উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের কুর্সি কাড়তে চায় না ওয়াশিংটন। পিয়ংইয়ং-এ জমানা বদলানোর কোনও ইচ্ছাই নেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসনের।
একের পর এক পরমাণু অস্ত্রপরীক্ষা আর ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে যখন বাহুবল দেখিয়ে চলেছে পিয়ংইয়ং, তখন মার্কিন বিদে়শ সচিব রেক্স টিলারসন বললেন, ‘‘আমরা তোমাদের শত্রু নই। আমরা তোমাদের উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের কুর্সি কাড়তে চাই না। পিয়ংইয়ং-এ এখনকার জমানার অবসান হোক, সেটাও চাই না। দুই কোরিয়াকে (দক্ষিণ ও উত্তর) জোর করে জুড়ে দিতেও চাই না। উত্তর কোরিয়াকে জব্দ করার জন্য কোনও অজুহাত খাড়া করে চাই না কোরীয় উপসাগরে মার্কিন সেনা পাঠাতেও। আলোচনা চাই। বৈঠকে বসতে চাই পিয়ংইয়ং-এর সঙ্গে, সমস্যা মেটাতে।’’ তবে ঘটনাপ্রবাহ হাতের বাইরে চলে গেলে কড়া জবাব দেওয়ার কথা যে ভাবতে হবে ওয়াশিংটনকে, সে কথাও বলতে ভোলেননি মার্কিন বিদেশ সচিব।
আরও পড়ুন- অশ্লীল মেসেজ পাঠান ইমরান, অভিযোগে দল ছাড়লেন নেত্রী
কয়েক দিন আগেই উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন হুমকি দিয়েছিলেন, যে কোনও মুহূর্তে আমেরিকার পশ্চিম উপকূলে আঘাত হানতে পারে পিয়ংইয়ং-এর ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র। এও বলেছিলেন, গোটা আমেরিকাই তাঁর অস্ত্রের নিশানার আওতায় রয়েছে।
তারই প্রেক্ষিতে মার্কিন বিদেশ সচিবের এই কূটনৈতিক জবাব। টিলারসন অবশ্য পিয়ংইয়ং-কে মনে করিয়ে দিতে ভোলেননি, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কথাও। টিলারসনের কথায়, ‘‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমাকে বলেছেন, উত্তর কোরিয়া যদি একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষানিরীক্ষা করে যায়, তা হলে যুদ্ধ অনিবার্যই।’’
আরও পড়ুন- ফের চড়া সুর চিনফিংয়ের
সেই সূত্র ধরেই একেবারে ঝানু কূটনীতিকের মতো ‘সঙ্গিন’ উঁচিয়েছেন মার্কিন বিদেশ সচিব। তবে নীচু স্বরে। টিলারসন বলেছেন, ‘‘আমাদের যেন পিয়ংইয়ং বিপজ্জনক না ভাবে। কিন্তু দিন কে দিন পিয়ংইয়ং আমাদের কাছে বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। এমন হলে তো আমাদের জবাব দিতে হবেই!’’