তিন বছরের দাম্পত্য দু’জনের। ২০০৪ সালে বিয়ে করেন পদ্ম লক্ষ্মী এবং সলমন রুশদি। ফাইল চিত্র।
দু’জনে আলাদা হয়েছেন ১৫ বছর আগে, তবে প্রাক্তন স্বামী সলমন রুশদির উপর হামলার খবর জানা মাত্র ঘুম উড়ে গিয়েছিল তাঁর এক কালের সঙ্গী পদ্ম লক্ষ্মীর। লেখকের সুস্থতার খবর পেয়ে তিনি একটি টুইট করে জানিয়েছেন, সলমন সুস্থ হচ্ছেন জেনে অবশেষে স্বস্তি পেয়েছেন তিনি।
মাত্র তিন বছরের দাম্পত্য দু’জনের। ২০০৪ সালে বিয়ে করেন। ২০০৭-এ বিচ্ছেদ। ঔপন্যাসিকের সঙ্গে মডেল তথা অভিনেত্রী পদ্মের বয়সের ফারাক ছিল ২৪ বছরের। কিন্তু তাঁদের সম্পর্কের রসায়ন নিয়ে দীর্ঘ দিন মাতামাতি হয়েছে সংবাদ মাধ্যমে। পরে অবশ্য পরিস্থিতি বদলানোয় দু’জনেই আলাদা পথ বেছে নেন। সেভাবেই কেটে গিয়েছিল ১৫ বছর। অবশেষে গত শুক্রবারের ঘটনা। যা শুনে পদ্ম ‘ভাষা হারিয়েছিলেন’ বলে টুইটে জানিয়েছেন জনপ্রিয় টিভি সঞ্চালক।
শুক্রবার সলমনের শারীরিক অবস্থা ছিল আশঙ্কাজনক। ভেন্টিলেশনে রাখতে হয়েছিল তাঁকে। সে প্রসঙ্গে টুইটে লেখকের প্রাক্তন স্ত্রী লিখেছেন, ‘শুক্রবারের দুঃস্বপ্নের পর আমি এখনও ভীত এবং ভাষাহীন। তবে শেষ পর্যন্ত হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম।’
রবিবার রুশদির সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি অ্যান্ড্রু ওয়াইলি জানিয়েছিলেন, লেখককে ভেন্টিলেশন থেকে বের করা হয়েছে। তিনি কথাও বলছেন। তবে একই সঙ্গে ওয়াইলি বলেন, ‘‘সুস্থ হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হলেও, পুরোপুরি সেরে উঠতে এখনও অনেকটা সময় লাগবে রুশদির। কেন না আঘাত বেশ গুরুতর।’’ অ্যান্ড্রুর ওই সাক্ষাৎকার প্রকাশ্যে আসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই টুইট করেন লেখকের প্রাক্তন স্ত্রী। লেখেন, ‘আশা করি দ্রুত সেরে উঠবে।’
মুম্বইয়ে জন্ম রুশদির। তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী পদ্ম জন্মেছিলেন চেন্নাইয়ে। দু’জনেই জন্মসূত্রে ভারতীয় এবং বিদেশে নিজেদের কর্মক্ষেত্রে নাম করেছেন। তাঁর লেখা ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ বইয়ের জন্য বহু বার ইসলাম ধর্মীয়দের থেকে প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন শুক্রবার নিউ ইয়র্কের শতকা ইনস্টিটিউশনে একটি একটি সাহিত্য আলোচনা সভায় রুশদির উপর ছুরি-হামলা চালান ২৪ বছর বয়সি নিউ জার্সির এক বাসিন্দা। গুরুতর জখম লেখককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তার পর।